বটিয়াঘাটায় এনজিও’র বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ

প্রকাশঃ ২০২০-০৩-১৮ - ১৩:৪৮

খুলনা অফিস : খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলায় জাগরনী ফাউন্ডেশন নামক একটি এনজিও’র ম্যনেজারের দায়িত্ব হীনতায় অফিসের সম্মূখে মঙ্গলবার সন্ধ্যায়ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন দেখে বিস্মিত হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারন মানুষ। রীতিমত জাতীয় পতাকা অবমাননার সামিল মনে করেন অভিজ্ঞ মহল। বিষয়টি অবগত হয়ে গুরুত্বের সাথে দেখছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
সরেজমিনে দেখা যায়, মঙ্গলবার সূর্যাস্ত গড়িয়ে সন্ধ্যার হাতছানি, মাগরিবের আযান প্রচারিত হচ্ছে। এসময়ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন রয়েছে জাগরনী ফাউন্ডেশন এনজিও অফিসের সম্মূখে। কাছে যেয়ে দেখা যায়, পতাকাটি এনজিও’র সাইবোর্ডের পিলারে একটি সরু প্লাষ্টিকের পাইপে উত্তোলন করা হয়েছে। সরকারী ভাবে জাতীয় পতাকা বিধি মালার সাধারণ নির্দেশনাবলীর ৮(১) বিধিতে উল্লেখ রয়েছে, সূর্যোদয় হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত পতাকা উত্তোলিত থাকবে। কিন্তু সরকারী এই বিধিমালা লঙ্ঘন করে জাতীয় পতাকার অবমাননা করায় হতবাক ও বিস্মিত হয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ। উপস্থিত বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু দাউদ ফকির বলেন, এভাবে সন্ধ্যা পর্যন্ত পতাকা উত্তোলন করে রাখা খুবই দুঃখজনক, এটা পতাকার অবমাননার সামিল। খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সুজিত কুমার রায় এক ফেসবুক পোষ্টে উল্লেখ করেন, জাতীয় পতাকার অপমান মানে বাঙ্গালীর অপমান, এর বিচার হওয়া জরুরী। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপটেন আফজাল হোসেন বলেন, বহু জীবন, রক্ত ও ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের লাল সবুজের পতাকা। যা একটি স্বাধীন দেশের প্রতীক বহন করে, সেটা অবমাননা কারীদের বিরুদ্ধে জরুরী ভাবে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাগরনী ফাউন্ডেশনের ম্যনেজার মো: মিজানুর রহমান ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, কাজের ব্যস্ততা থাকায় সময়মত পতাকাটি নামাতে পারি নাই। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, এমনটি হলে এনজিও’র দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।