বটিয়াঘাটায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-০৮ - ১৮:০১

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটা উপজেলায় আবারও নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ইসলাম শেখ (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়াল ৬ জন। নতুন আক্রান্ত রোগীর বাড়ী জলমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া গ্রামের একতা মোড় এলাকায়। নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলামের নির্দেশে সোমবার সকাল ১০টায় নতুন আক্রান্ত রোগীর বাড়ীসহ পাশ^বর্তী আরও ৫টি বাড়ী লকডাউন আইনের আওতায় এনে প্রশাসনের পক্ষে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোঃ রাশেদুজ্জামান নতুন আক্রান্ত রোগীর বাড়ী ও আশপাশের এলাকায় লকডাউন আওতাভূক্ত বাড়ীর পরিবার গুলোর মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ উপহার সামগ্রী বিতরণ করেন। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে জলমা ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া একতা মোড় এলাকায় রায়হান রাজু নামের এক পিকআপ চালক করোনায় আক্রান্ত হলে গত ৬ই জুন পর্যন্ত রোগী রাজুর বাড়ী লকডাউন করা হয়। লকডাউনের মেয়াদ শেষ হলে গতকাল রবিবার ঐ রায়হান রাজুর বাড়ীর ৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। উক্ত ৫ জনের মধ্যে ইসলাম শেখ নামের এক ব্যক্তির করোনা পজেটিভ ধরা পড়লে উপজেলা প্রশাসন নতুন আক্রান্ত ইসলাম শেখের বাড়ীসহ পাশর্^বর্তী আরও ৫টি বাড়ী লকডাউন করে দিয়েছেন। এ নিয়ে বটিয়াঘাটায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা মোট ছয় এ দাড়িয়েছে। আক্রান্ত অন্য রোগীরা হলো জলমা ইউনিয়নের একতা মোড় এলাকায় রায়হান রাজু ও তার শ^শুর ইসলাম শেখ, মহম্মদনগর গ্রামের তকিম সড়কের মোঃ ইকরাম সহ ২জন, জিরোপয়েন্ট এলাকায় ১জন এবং বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের হাটবাটী গ্রামের এসি রিপিয়ারিং কর্মচারী রিয়াজুল হক। ইতিমধ্যে রায়হান রাজু, মোঃ ইকরাম ও রিয়াজুল হক চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরসহ কর্তৃপক্ষ। বাকি রোগীরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। অন্যদিকে বটিয়াঘাটায় করোনা রোগীর সংখ্যা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা ধরনের করোনার গুজব রটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে অন্যান্য রোগের চিকিৎসা বন্ধ করে দিয়েছে বলে একাধিক সাধারণ ভূক্তভোগী রোগীরা দাবী করেছে। এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোঃ রাশেদুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান, এ উপজেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ৬ জন। তবে হরিনটানা ও লবনচরা থানা পৃথক পৃথক ভাবে জরিপ করছে খুলনা মেট্রোপলিটন এর আওতায়। তিনি আরও জানান, সুযোগ্য জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোঃ হেলাল হোসেনের নির্দেশে ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলামের সার্বিক সহযোগীতায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় নানা ধরনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মধ্যে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে গণসচেতনতামূলক প্রচার ও লিপলেট বিতরণ, মাস্ক না পরে যৌক্তিক কারন ছাড়া ঘোরাঘুরি, আড্ডা এবং রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় সকল জনসমাবেশ সহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে জরিমানা আদায় অব্যহত রয়েছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট মোঃ নজরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলায় যে সকল রোগী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তার অধিকাংশ রোগী বাইরে থেকে আক্রান্ত হয়ে এ উপজেলায় এসেছে। তারপরও বহিরাগত লোক যাতে আমাদের উপজেলায় প্রবেশ করে করোনার বিস্তার ঘটাতে না পারে সে লক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষনিক মনিটরিং সহ পরিবিক্ষণ করছি। সব মিলিয়ে এ উপজেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ বর্তমানে করোনা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।