বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি :বটিয়াঘাটার কাজীবাছা নদীতে বন্ধুরা মিলে বড়শি বাওয়ায় নোভা মেডিভেট কোম্পানির মালিক শহীদুল ইসলাম সোহেল ওরফে মোঃ সোহেল ও তার বেতনভুক্ত কর্মচারীর বেদম মারপিটে মৃত্যুন্জ্ঞয় লষ্কর মিঠুন নামের একাদশ শ্রেনীর ১ম বর্ষের এক ছাত্র গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহষ্পতিবার বেলা ১টার দিকে উপজেলার কিসমত ফুলতলা বালিরমাঠ নামক স্হানে কাজীবাছা নদীর তীরে। জানা গেছে, ওই একই এলাকার হতদরিদ্র ভ্যানচালক খোকন লস্করের পুত্র সরকারী বটিয়াঘাটা ডিগ্রী মহাবিদ্যালয়ের ১ম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুন্জ্ঞয় লস্কর ও ওই একই এলাকার সহপাঠী বন্ধু রাজশাহী বিশ্বদ্যালয় থেকে বিবিএ অনার্স মাষ্টার্স কমপ্লিট বিধান মন্ডলের পুত্র বিশ্বজিৎ মন্ডল এবং পটুয়াখালী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তুষার ইজাদ্দারের পুত্র স্বাধীন ইজারদার মিলে কাজীবাছা নদীতে বড়শি ধরছিলো। এ সময় নোভা মেডিভেট কোম্পানীর মালিক মোঃ সোহেল ও উপজেলার বলাবুনিয়া গ্রামের বিমল বৈরাগীর পুত্র নিখিল বৈরাগী সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৭ জন ব্যক্তি শর্টগান, লোহার হাতুড়ি ও রড সহ সজ্জিত হয়ে তাদেরকে বড়শি বেতে নিষেধ করে। তারা কারন জিজ্ঞেস করলে সোহেলের সাঙ্গপাঙ্গরা তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করে এবং মালায়ন বলে গালি দিয়ে গুলি করার হুমকি দেয়।একপর্যায়ে মৃত্যুন্জয়কে ধরে নিয়ে বেধড়ক মারপিঠ করে নোভা কোম্পানীর মধ্য নিয়ে রশি দিয়ে বেঁধে রেখে মধ্যযুগীয় কাঁয়দায় নির্যাতন চালায়। অন্য দুই বন্ধু ভয়ে পালিয়ে গিয়ে স্হানীয় গ্রামবাসীকে খবর দিলে গ্রামের নারী পুরুষ ও গন্যমান্যব্যক্তিরা ঘটনাস্হলে গিয়ে থানা পুলিশকে খবর দিয়ে তাঁকে গুরুতর জখম অবস্হায় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ রিপোর্ট পর্যন্ত তার অবস্হা আশংঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।এ ব্যাপারে গুরুতর জখম মৃত্যুন্জ্ঞয়ের মা বাদী হয়ে থানায় এজাহার দায়ের করেছে।