ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটার শিয়লীডাঙ্গা খেয়াঘাটের দক্ষিণ পার্শ্বের কাজীবাছা নদীর ওয়াপদা ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তির্ণ এলাকা লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। লোনা পানি প্রবেশ করে শিয়ালীডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের বসতবাড়ী, মৎস্য ঘের, রবিশষ্যের ক্ষেত, গবাদী পশু সহ কোটি কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। লোনা পানি প্রবেশ করার কারনে পানি বাহিত রোগের আশংকা দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী সহ সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট দ্রুত ভেড়ীবাঁধ সংস্কারের জোর দাবী জানিয়েছেন। ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার মধ্য রাতে পূর্নিমার গোনে নদীতে অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি হওয়ায় ও কাজীবাছা নদীর প্রবল ¯্রােতের তোড়ে উপজেলার শিয়ালীডাঙ্গা খেয়াঘাটের দক্ষিণ পাশের্^ প্রায় ১শত ফুট ওয়াপদার ভেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যায়। আমীরপুর, বালিয়াডাঙ্গা ও ভান্ডারকোট ৩৪/২ নং পোল্ডার এ ভেড়ীবাঁধটি ভেঙ্গে লোনা পানি প্রবল বেগে ভিতরে প্রবেশ করে। এতে গ্রামের বসতবাড়ী, মৎস্য ঘের, রবিশষ্যের ফসল ভরা ক্ষেত তলিয়ে যায়। এছাড়া লোনা পানিতে মিষ্টি পানিতে সৃষ্ট ফলজ, বনজসহ যাবতীয় বৃক্ষ্মাদী মারা যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। পাশাপাশি লোনা পানি স্থায়ীভাবে সমতলে অবস্থান করার কারনে সেখানে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশংকা দেখা দিয়েছে এবং পানিবাহিত রোগবালাই ও জীবানু বিস্তারের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এ ব্যাপারে এলাকার সাবেক মেম্বর মঞ্জু শেখ, মোস্তাফিজুর রহমান, মনিরুল ইসলাম, পলাশ খান, আছাবুর রহমান, সাইদুর, বাবলু শেখ ও ফোরকান সহ শিয়ালীডাঙ্গা গ্রামবাসী আরও জানায় শিয়ালীডাঙ্গা গ্রামের প্রধান সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বের বাড়ীঘর, মৎস্য ঘের, গবাদী পশু, ফসলের ক্ষেত লোনা পানি প্রবেশের কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ভেড়ীবাঁধ ভাঙ্গনের কারনে রাতে পানি প্রবেশের সময় বসতবাড়ীর নারী-পুরুষ সহ শিশুরা রাতে ঘুম না পড়ে জেগে থাকছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য জানান বাঁধ ভেঙ্গে পানি প্রবেশের বিষয়টি পাউবো সহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। অন্যদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি দ্রুত ওয়াপদার ভেড়ীবাঁধের বিকল্প রিং বাঁধ নির্মান করা হবে। পাউবো’র এক্সএন পলাশ কুমার জানান বিষয়টি আমরা শুনেছি এবং ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম পূর্নিমার গোনের প্রভাব কমে গেলেই বিকল্প ভেড়ীবাঁধ নির্মান কাজ শুরু করব।