বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃ খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধী দলীয় হুইপ মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক শেখ হারুনুর রশিদ বলেছেন, স্বাধীন বাংলার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বুকে ধারন করে গরীব-দুঃখী মানুষের হাঁসি ফোটানোর লক্ষ্যে দীর্ঘ ৫৭টি বছর ধরে রাজনীতি করে যাচ্ছি। তারই যোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার সন্তুষ্টি নিয়ে দেশের কল্যাণে মনোনিয়েজিত করতে বর্হিঃবিশ্বের প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশবাসীর সেবায় আত্মনিয়োগ করেছি। ব্যক্তিগত জীবনে নিজের চাওয়া-পাওয়ার হিসেব কষতে যাইনি। শুধু একাগ্রতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। আর এই ক্ষেত্রে সদা-সর্বক্ষণ অনুপ্রেরণা আর শক্তি যুগিয়েছে বটিয়াঘাটা-দাকোপের সর্বস্তরের মানুষ। তিনি আবেগপ্লুত হয়ে বলেন, নিজ জন্মভূমিতে আজকের নাগরিক সংবর্ধনায় মানুষের ভালোবাসা আমার আগামী দিনে চলার পথে সহায়ক হবে। তিনি বৃহস্পতিবার বটিয়াঘাটা উপজেলা পরিষদ নব-নির্মিত হল রুপে অনুষ্ঠিত নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংবর্ধিত প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন স্থানীয় জাতীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি পঞ্চানন বিশ্বাস। নাগরিকনেতা ইউপি চেয়ারম্যান মনোরঞ্জন মন্ডলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবাশীষ চৌধুরী, ওসি মোজাম্মেল হক মামুন, জেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুজ্জামান জামাল, হিন্দু কল্যাণ ট্রাস্ট্রের ট্রাষ্টি এড. নিমাই চন্দ্র রায়, অতিরিক্ত পিপি এড. নবকুমার চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সদস্য জয়ন্তী রানী সরদার, ভাইস-চেয়ারম্যান বুলু রায় গাঙ্গুলী, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শরিফ মোঃ রুবেল, বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রফুল্ল কুমার রায়, উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ, অধ্যক্ষ অমিতেশ দাস ও বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ আফজাল হোসেন। নাগরিক সংগঠনের সদস্য সচিব আ’লীগনেতা মানস পাল ও সৈনিকলীগের জেলা সভাপতি সাংবাদিক এসএম ফরিদ রানার পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তৃতা করেন প্রধান শিক্ষক অনিল কুমার মন্ডল ও অন্নদা শংকর রায়, বীরমুক্তিযোদ্ধা সর্ব্বজনাব নিরঞ্জন কুমার রায়, নির্মল অধিকারী, আবু দাউদ ফকির, বিকাশ কুসুম মন্ডল, মোঃ মনিরুজ্জামান, চেয়ারম্যান শেখ হাদি-উজ-জামান হাদী, চেয়ারম্যান গোলাম হাসান, চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাবু, জেলা যুবলীগনেতা সরদার জাকির হোসেন, জামিল খান, বেগ আমিন, মাহফুজুর রহমান সোহাগ, বিধান রায়, সুমন আহমেদ খান, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন ইমু, দ্বীপ পান্ডে বিশ্ব, রফিকুল ইসলাম রফিক, তাপস জোয়াদ্দার, রাফেল হোসেন বাবু, খাদিজা আক্তার, সাবিনা ইয়াসমিন, সাইদুর রহমান, উপজেলা আ’লীগনেতা রবীন্দ্রনাথ ঢালী, দেবপ্রসাদ বিশ্বাস, গোলাম মোস্তফা মুন্সী, অধ্যাপক মনোরঞ্জন মন্ডল, রবীন্দ্রনাথ বৈরাগী, প্রহল্লদ জোয়ার্দ্দার, উপজেলা আ’লীগনেতা গোবিন্দ মল্লিক, ইশারত হোসেন, আকরাম হোসেন, নারায়ন চন্দ্র সরকার, মুশিবুর রহমান, পঙ্কজ বিশ্বাস, রবীন্দ্রনাথ সরকার, তুলশীদাস বিশ্বাস, আলম হালদার, বিপ্লব মল্লিক, পলাশ সরকার, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক অনুপম বিশ্বাস, অলোক মল্লিক, ছাত্রলীগের সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম রিপন, সাধারণ সম্পাদক অতনু মন্ডল, গাজী আহম্মদ আলী, সমর বাছাড়, মিলন মল্লিক, নৃপেন বিশ্বাস, বিদ্যুৎ শেখ, বিএম আক্তার, মিরাজ তালুকদার, ফারুক হাওলাদার, বিএম আব্দুল হাই প্রমূখ। প্রধান বক্তা এমপি পঞ্চানন বিশ্বাস তার বক্তৃতায় বলেন যাদের কখনো কোনো দিন এ অঞ্চলের উন্নয়নের সাথে সম্পৃক্ততা দেখা যায়নি তারা হঠাৎ করে এলাকায় নেতৃত্বে আসতে চাচ্ছে, এদের কে সামাজিক ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। বর্তমান সরকার ১৩৪ রকমের উপর ভাতা প্রদান করে চলেছে। ২০১৮সালের মধ্যে প্রতিটি ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ ও পাকা রাস্তা নির্মান করবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। যারা এতো কিছু দিচ্ছে তারা যাকে মনোনয়ন দেবে তার হয়ে সকলকে এক সাথে কাজ করতে হবে।