খুলনা : জমি নাই ঘর নাই এমন মানুষের ভাগ্যের কথা ভেবে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ণ প্রকল্প-২ চালু হয়। অসহায় মানুষ গুলো এখানে মাথা গুজার ঠাই পেতে ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করেন।
খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার জলমা ইউনিয়নে মোট ১৮৬ জন ভূমিহীন জমি ও ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করেন। আবেদন গুলো যাচাই বাছাইয়ের জন্য উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর মোল্যার উপর দায়িত্ব দেয়া হয়। যাচাই বাছাইয়ে মাত্র ৬০ জন জমি ও ঘর পাওয়ার জন্য উপযুক্ত মনোনিত হয়।
এদিকে জমি ও ঘর পাইয়ে দেয়ার কথা বলে কিছু লোক ভূমিহীন পরিবারের নিকট থেকে অর্থবাণিজ্য শুরু করেন। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে লবনচরা থানার পুলিশ শেখ রাসেল ইকোপার্ক এলাকার মৃত রশিদ মোল্যার স্ত্রী জুলেখা বেগম ( ৫৫) নামের এক মহিলাকে আটক করেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলমের নির্দেশে প্রথমে তাকে বটিয়াঘাটা থানা পুলিশে দেয়া হয়। পরবর্তীতে তাকে কেএমপির লবনচরা থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। এব্যপারে থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৫। জানা যায়, জুলেখা বেগম ও তার সহযোগী আপন ভাই একই এলাকার মজিদ সরদারের ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম ওরফে ছোটন এবং কিছু অসাধু কর্মচারীদের যোগসাজশে ৮ জন ভূমিহীন যথাক্রমে মিরাজ,সুমি বেগম,হাসি, তাসলিমা,মাসুরী, রিনা ও রেশমা বেগমের কাছ থেকে জমি ও ঘর পাইয়ে দেওয়ার নামে ৬ লক্ষ, ৬৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। ৬০ জন ছাড়া অন্যরা আবেদন থেকে বাদ পড়লে অর্থ আত্মসাতের বিষয়টি সামনে চলে আসে। জমি ও ঘর পেতে অর্থ প্রদানকারী ভূক্তভোগীরা অর্থ প্রদানের কথা স্বীকার করলে বিষয়টি নিয়ে উপজেলায় তোড়পাড় শুরু হয়। এব্যাপারে ভূক্তভোগী শরিফুল জানান, দালালদের সাথে সংশ্লিষ্ট অফিসের কিছু অসাধু কর্মচারী জড়িত রয়েছেন ।
এব্যাপারে যাচাই-বাছাইয়ের দায়িত্বে থাকা উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু বক্কর মোল্ল্যা বলেন, আমি অধিকতর যাচাই-বাছাই করে প্রকৃত ভূমিহীন হিসেবে ৬০ জনের নাম পেয়েছি । এ বিষয় লবণচরা থানার ওসি জানান, উক্ত ঘটনায় দুজনকে আসামী করে মামলা হয়েছে।
বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ নুরুল আলম বলেন, ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকিরা যারা জড়িত রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।