শেখ আব্দুল হামিদ, বটিয়াঘাটা : খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অনিয়ম দুর্নীতি আর অবহেলায় প্রতিনিয়ত রোগীরা হয়রানীর শিকার হচ্ছে। সন্তান প্রসব করতে এসে কর্তব্যরত নার্স ও ডাক্তারের অবহেলায় গত শুক্রবার গভীর রাতে যাত্রীবাহী ভ্যানের উপর ভুমিষ্ঠ হলো এক নবজাতক। অবহেলা আর অযত্নে সেখানেই তার শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করতে হলো। ঘটনারপর তিন দিন অতিবাহিত হলেও মানবাধিকার সংগঠন গুলো যেন মুখ থুবড়ে পড়েছে। প্রতিবাদের ভাষা যেন এখানে নির্বাক। সূত্র মতে, গত শুক্রবার রাত দু’টার দিকে কিসমত ফুলতালা গ্রামের শ্লিন্দামারী এলাকার শফিকুল ইসলাম তার স্ত্রী রহিমাকে নিয়ে স্বাস্থ্য কেন্দ্রে আসেন। রহিমা তখন প্রসব বেদনায় ছটফট করছেন। বহু চেষ্টার পর কর্তব্যরত সেবিকারা ঘুম থেকে উঠে রহিমার কাছে আসেন। পরে তাকে ভর্তী না করে ওই রাতেই বিদায় করেন। উপায় না পেয়ে গরীব শফিকুল তার স্ত্রীকে নিয়ে একটি ভ্যানে চড়ে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। এক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে মল্লিকেরমোড় এলাকায় পৌঁছলে রহিমা সন্তান প্রসব করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই নবাজাতকের মৃত্যু ঘটে। দশ মাস পেটে ধারণের পর ভুমিষ্ট শিশু পৃথিবীর আলো দেখতে পেল না। নার্স আর ডাক্তারের অবহেলায় শফিকুল হারিয়েছে তার সন্তানকে। এ ভাবেই প্রতিনিয়ত বটিয়াঘাটা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঘটছে দুর্ঘটনা। হাসপাতালের কোন ডাক্তারই কোয়াটারে অবস্থান করেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বসবাস করেন খুলনা শহরে। ডা: সুশান্ত মন্ডল বিদায় নেয়ার পর এখন ডা:বাপী রায়ই রোগীদের এক মাত্র ভরসা। সার্বিক বিষয় নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: রাম প্রসাদ সাহা বলেন, নবজাতক ভ্যানের উপরে ভুমিষ্ট হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে এ সংবাদ আমার জানা নেই। তবে ওই দিন ডা:সমাছাদ সুলতানা কর্তব্যরত ছিলেন। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে জানান।