ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ বটিয়াঘাটা সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখকদের দালালীর কারণে জমির মালিকগণ জমি ক্রয়-বিক্রয় করার ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক দন্ড সহ পড়েছে বিপাকে। এক শ্রেণীর দলিল লেখক সাব-রেজিষ্ট্রারের নাম ভাঙ্গিয়ে দলিল রেজিষ্ট্রির ক্ষেত্রে কৃত্রিম ফাঁদ তৈরি করে জমির ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয় কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোট অংকের টাকা। যা দেখার কেউ নেই।
সুত্রে প্রকাশ উপজেলা সাব-রেজিষ্ট্র্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির অধিকাংশ দলিল লেখক সাব-রেজিষ্ট্রারের নাম ব্যবহার করে জমির ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়য়ের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। ভুক্তভোগিরা এর প্রতিকার পেতে প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছে না। কারণ প্রতিবাদ করলে দলিল লেখকরা দলিল রেজিষ্ট্রি বন্ধের ভয় দেখানো হচ্ছে। আবার কোন কোন দলিল লেখক সাব-রেজিষ্ট্রারের সাথে আমার সখ্যতা আছে এমন টাকে পুঁজি করে দালালি করার হাজারো অভিযোগ রয়েছে। ভুক্তভোগিরা দলিল লেখকদের দালালির কারণে জমি বিক্রয় করতে না পেরে পরিবারের চিকিৎসা খরচ, ছেলে-মেয়েদের বিবাহ, লেখা-পড়া ও চাকুরির অর্থ জোগাড় করতে পড়ছে বিপাকে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি জলমা ইউনিয়নে চক্রাখালি গ্রামের মৃতঃ নিত্যনন্দ রায়ের দুই পুত্র বিধান রায় ও তার ভাই দেব কুমার রায় জানান গত ৭ নভেম্বর মঙ্গলবার সাব-রেজিষ্ট্রী অফিসে ছয়ঘরিয়া মৌজায় আমার পৈত্রিক জমি বিক্রি করতে আসলে খতিয়ানে নদী সিকস্তীর কথা বলে সাব-রেজিষ্ট্রারের নাম ভাঙ্গিয়ে দলিল লেখক মোল্যা মোঃ মুসা ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। অথচ ভুক্তভোগি বিধান ও তার ভাই যে দাগের জমি বিক্রয় করেছে সে দাগে কোন নদী সিকস্তীর উল্লেখ নাই। তারপরও ভুক্তোভুগি উক্ত জমি সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করে পয়েস্থী করে এবং সরকারের বিরুদ্ধে চিরস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দলিল লেখক জমি বিক্রেতাকে সাব-রেজিষ্ট্রারের ভয় দেখিয়ে উক্ত ২০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। এব্যাপারে সাব-রেজিষ্ট্রার কে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোন অভিযোগ কেউ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এব্যাপারে ভুক্তভোগি জমির
মালিকগণ দলিল লেখকদের দালালি বন্ধ করতে সাব-রেজিষ্ট্রার সহ দলিল লেখক সমিতির নব নির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।