ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটা উপজেলা জলমা মৌজায় রেডীর্য় মালিকেদের নদী ভরাটি জমি প্রশাসনকে ভুল বুঝাইয়ে এক শ্রেনীর ভূয়া ভুমিহীন সেজে বন্দোবস্ত নেয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। আর উক্ত রেকর্ডীয় জমি বন্দোবস্তকে কেন্দ্র করে ভূমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘুষের আনন্দে ভাসছে। অন্যদিকে উক্ত মৌজার ভূমির প্রকৃত মালিক গন দিকবেদিক ছুটাছুটি করছে।
সুত্রে প্রকাশ, উপজেলার জলমা মৌজায় সম্ভবত ১৯৮৩ সালে খুলনা শহরকে পানির চাপ থেকে রক্ষা করতে কাজীবাছা নদীর এক মুখে জলমা -কচুবুনিয়া নামক স্থানে একটি শহর রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করে। তখন শহর রক্ষা ভেড়ী বাঁধের পূর্ব পার্শে প্রায় (১০০০) এক হাজার একর জমি ছিল এবং মৌজার শেষে নালুয়া নামক আরেকটি নদী ছিল। জলমা মৌজার জমির পশ্চিমে কচুবুনিয়া গ্রাম ও আবার প্রায়( ৫০০) পাঁচশত একর জমি এবং জলমা গ্রাম । দুই বছর পরে কাজীবাছা নদীর অপর মুখ তেঁতূলতলার আলুতলা ক্লোজারে শহর রক্ষা অন্য আরেকটি বাঁধ নির্মাণ করা হয়। তখন কাজীবাছা নদী এক ভয়াবহ রুপ ধারণ করে। কাজীবাছা নদীর প্রবল স্রোতে জলমা মৌজার সি,এস,ও এস,এ এবং আর,এস, রেকর্ডীয় শত শত মালিকের জমি নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। পরবর্তীতে নদী ভাঙ্গন এত মারাত্বক আকার ধারণ করে যে, জলমা ও কচুবুনিয়া গ্রাম দুটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়। এতে ও খ্যান্ত হয়নি কাজীবাছা নদী, নদীর ভয়াবহরুপ ধারনের কারনে মূয়ুরী নদীতে জলবদ্ধতা এবং নালুয়া ও পশুর নদী সম্পূর্ণ মারা যায়। এতে এক দিকে যেমন জলমা মৌজার শত শত পরিবার জমিজমা, ঘরবাড়ি, সহায়-সম্বল হারিয়ে সরকারী ওয়াপদা রাস্তার পাশে মানবেতার জীবন- যাপন করছে। অন্যদিকে কাজিবাছা নদী ভাঙ্গন শুধু এদের রের্কডীয় জমি বাড়ি,ঘর, কেড়ে নিয়ে ক্ষান্ত হয়নি। এদের শিক্ষা, সাংস্কৃতি ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান সহ বর্তমানে ভূমি দুস্যরা চরভরাটি রেকর্ডীয় জমি ভুমি অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের যোগসাজসে দখল করে নিচ্ছে। জলমা মৌজার এ সকল রের্কীড জমির মালিক গণ তাদের জমি ফিরে পেতে আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। বিগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার শন্তিমনি চাকমা আট লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রায় এক শতাধিক ভূয়া ভূমিহীনদের নামে জলমা মৌজার ঐ সকল রেকর্ডীয় জমির মালিকদের জমি বন্দোবস্ত দিয়েছে। ইতিমধ্যে জলমা মৌজার ঐ সকল বন্দোবস্তকৃত দলীলের বিরুদ্ধে রেকর্ডীয় মালিকগণ দলীল রধের মামলা করেছে। সম্প্রতি উক্ত জলমা মৌজার ভূমি জরপি কার্য সম্পন্ন হওয়ার কথা জানিয়েছে কতৃপক্ষ। বর্তমানে জলমা মৌজার রেকর্ডীয় ,মালিকগণের উক্ত নদী ভরাটি জমি মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ভূয়া ভূমিহীনদের মাঝে বন্দোবস্তÍ দেয়ার পায়তারা করছে। এ ব্যাপারে জলমা তহশীলদার জগন্নাথ ঘোষ জানান রেকর্ডীও জমি যে গুলো মামলা চলছে সে সকল জমি বন্দোবস্ত হবে না। এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশানার ভূমি মহিউদ্দিন জানান আমারা ভাল ভাবে যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে মালিকানা জমি বাদে নদী ভরাটি জমি প্রকৃত ভূমিহীনদের নামে বন্দোবস্ত দেওয়া হবে। উপজেলা র্নিবাহী অফিসার দেবাশীষ চৌধুরি জানান ভুমির বিষয়টি আমার দপ্তরের কাজ নয়। তারপরও বন্দোবস্ত কমিটি বিষয়টি যাচাই বাছাই করে দেখবে। এ ব্যাপারে খুলনা ১ আসনের সাংসদ পঞ্চানন বিশ্বাস বলেন, জলমা মৌজায় জরিপের আগে কোন জমি বন্দোবস্ত দেওয়া হবে না। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগি এলাকাবাসীর দাবী আমিরপুর ইউনিয়নের ভূমির মালিকগণ যদি জলমা ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা মৌজায় মালিকানা জমি পেতে পারে, তবে জলমা ইউনিয়নের জলমা মৌজার জমি বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নে চরজাগলে তা কেন পাইবো না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ঠ দপ্তরের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।