বটিয়াঘাটায় পল্লী বিদ্যুৎ ভৌতিক বিলে দিশেহারা গ্রাহকরা

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-০৮ - ১৯:০৩

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, বটিয়াঘাটাঃ বটিয়াঘাটা উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকদের ভৌতিক বিল করে মানষিক ও অর্থনৈতিক চাপে ফেলেছে। করোনায় কর্মহীন অসহায় মানুষ পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বাড়তি বিলের চাপে দিক বিদিক ছুটাছুটি করছে। ভৌতিক বিল সহ করোনায় লকডাউনে থাকা কর্মহীন অসহায় গ্রাহকরা ৩ মাসের বিল মওকুফ করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
সূত্রে প্রকাশ, উপজেলার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাধারণ গ্রাহকরা করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউনে থেকে একদিকে যেমন কর্মহীন হয়ে পড়েছে, তেমনি অন্যদিকে পল্লী বিদ্যুতের ভৌতিক বাড়তি বিলের চাপে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। সারা বিশে^র ন্যায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় লকডাউনের অংশ হিসেবে গত ২৫ মার্চ থেকে ৩০ মে পর্যন্ত সারা দেশে ধাপে ধাপে লকডাউন করে সরকার। এতে সাধারণ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় তাদের আয় রোজগার সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ বিল, বিভিন্ন ঋণের কিস্তি গ্রাহকদের তাড়া করে বেড়াচ্ছে। এতে করে লকডাউনে থাকা গ্রাহকরা খাদ্য যোগাড় করতেই হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে বিদ্যুতের বিল কিভাবে দিবে। তারপরও রয়েছে ভৌতিক বিদ্যুৎ বিলের বাড়তি চাপ। উক্ত ভৌতিক বাড়তি বিলের বোঝা মাথায় নিয়ে গ্রাহকরা দিক বিদিক ছোটাছুটি করছে। এ ব্যাপারে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সদস্য মৃনাল টিকাদার, মধুসুধন মল্লিক সহ একাধিক ব্যক্তি এ প্রতিবেদককে জানান, যেখানে করোনায় লকডাউনে কর্মহীন হয়ে খাদ্য জোগাড় করতে হিমশিম খাচ্ছি। সেখানে বাড়তি বিলের বোঝা কিভাবে জোগাড় করব। আমাদের দাবী সরকার মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের বিদ্যুতের বিল ভর্তূকীর মাধ্যমে মওকুফ করে দিক, তাহলে সরকারের কাছে আমার সকল গ্রাহকরা কৃতজ্ঞ থাকব। এ ব্যাপারে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে এ প্রতিবেদককে জানান, করোনা মোকাবেলায় লকডাউন চালু থাকায় বাড়ী বাড়ী গিয়ে বিল করা সম্ভব হয়নি। পূববর্তী বিলের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এ তিন মাসের বিল করা হয়েছে। তাই এ মাসে বাড়তি বিল মনে হচ্ছে। আগামী জুন মাসে পূর্ববর্তী বিলের সাথে সামঞ্জস্য এসে যাবে। অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে তেল, গ্যাস ও জ¦ালানী প্রতিমন্ত্রীর বরাত দিয়ে এক প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে জানা যায়, করোনা লকডাউনে থাকা বিগত তিন মাসের গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল মওকুফ করা হবে। এ ব্যাপারে খুলনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাধারণ গ্রাহকরা ভৌতিক বিদ্যু বিলের থেকে পরিত্রাণের জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছে।