শেখ তারেক মাহমুদঃ বটিয়াঘাটায় জমাজমির সংক্রান্ত গোলযোগে সুমন শেখ ও তার স্ত্রী মাহমুদাকে মেরে আহত করে এবং বসতবাড়ী ভাংচুর করে মাটির সাথে মিসিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাটি ঘটেছে খুলনা জেলার বটিয়াঘাটা থানার বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের হাটবাড়ি গ্রামে।
পুলিশ ও ক্ষতিগ্রস্ত সুত্রে জানা যায়, গত ২৭ শে জানুয়ারী আনুঃ বিকাল ৪ টার সময় হাটবাড়ি গ্রামের আকুব্বার শেখ এর বাড়ীতে জমা জমি সংক্রান্ত এক শালিশ চলছিল। শালিশ চলাকালিন এক পর্যায়ে হঠাৎ হাটবাড়ী গ্রামের মহর আলী শেখচিৎকার দিয়ে বলে এ শালিশ মানিনা – চল দেখে নেব বলে শালিশ বৈঠক হতে উঠে ১৫-১৬ টি মটর সাইকেলযোগে সুমন শেখ এর বাড়িতে প্রবেশ করে চড়াও হয়ে সুমনকে ডাকতে থাকে। ডাক চিৎকারে সুমনের স্ত্রী মাহমুদা ঘর থেকে বারান্দায় এলে মহর আলীর নির্দেশে ইউছুফ শেখ, পিতা- মৃত আদিল শেখ, সাঈদ শেখ, পিতা- মৃত আফতাব শেখ, মুরাদ, জিয়ারত পিতা- মজিদ শেখ সাং- হাটবাড়ী, মনি শেখ, কামাল শেখ পিতা- আকব্বার সাং- লক্ষীখোলাসহ ৭-৮ জন অপরিচিত লোক সুমনের বসত ঘর খালি ভাংচুর করে, ঘরের খুটি, টিনের চাল, ঘরের খাট, লেপ, খাতা, চাল- ধান, সংসারের অন্যান্নজিনিস পত্র বাংচুর ও ছুড়ে ফেলে দেয়। সুমন ও তার স্ত্রী মাহমুদাঠেকাতে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের প্রচন্ড মারপিট করে। মারপিটের এক পর্যায়েসাঈদ ও ইউছুফ মাহমুদাকে বিবস্ত্র করে ফেলে। প্রায় ২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করে বিজয় উল্লাসে সন্ত্রাসীরা বীরদর্পে চলে যায়। যাওয়ার সময় ভিটা ছাড়ার হুমকি দেয়, অন্যথায় জীবন দিতে হবে বলে যায়। এলাকর বাসি সুমন ও মাহমুদাকে উদ্ধার করে খুলনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে।
এবিষয়ে বটিয়াঘাটা থানায় সন্ত্রাসীরা ক্ষতিগ্রস্ত সুমন, মোজাফ্ফার ও নয়ন নামের ৩ জনের নামে মামলা করে (মামলা নং- ০৮/১৮)। পুলিশ সুমন ও মোজাফ্ফারকে আটক করে। গতকাল তারা জামিনে বেরিয়ে আসে।
ক্ষতিগ্রস্ত সুমনের বোন শিউলি বেগম বাদী হয়ে খুলনা চীপ জুডিঃ ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উল্লেখিত ৭ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট বটিয়াঘাটা থানাকে এজাহার ভুক্ত করার জন্য হুকুম দিয়েছেন।