বটিয়াঘাটা : বটিয়াঘাটায় পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় দুই ভাই রেজাউল শেখ (৫০) তার ছোট ভাই রবিউল ইসলাম(৪৫) গুরুত্বর জখম হয়েছে। তাদেরকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। এর মধ্যে রেজাউল শেখ ঘন্টাখানেক পর মারা যান। রবিউলকে মাথায়ও গুরুত্বর জখম হন। গতকাল শনিবার সকাল ৮টার দিকে বটিয়াঘাটা উপজেলা ৬নং বালিয়াডাঙ্গা ইউনিয়নের ঝালবাড়ী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে নিহতের সেঝ ভাই মোঃ মেসবাহ উদ্দিন বাদী হয়ে বটিয়াঘাটায় থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এজাহার দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে বটিয়াঘাটা থানার ওসি মোঃ মোজাম্মেল হক মামুন বলেন, এক শতক জমি-জমা সংক্রান্ত জের ধরে আপন চাচাতো ভাইদের সাথে বিবাদ ছিলো। এরই জের ধরে হত্যাকান্ডটি ঘটে। নিহতের ভাই বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনাস্থলে পরিদর্শন করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, বটিয়াঘাটা উপজেলা ঝালবাড়ী গ্রামের বাসিন্দা গোলাম রহমানের পুত্র রেজাউল শেখ তার দোকান দেখাশুনা করার জন্য বাজারে ঘুরঘুরি করছিল। এ সময় পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা প্রতিপক্ষ আঃ ছালাম শেখের দুই পুত্র মোঃ খুরশিদ আলম (৩৫) ও মোঃ খায়রুল শেখ (২৮), মৃত কলম বক্সের পুত্র আঃ ছালাম শেখ (৫৮), কালাবাবুর পুত্র এরশাদ(৩২) হাতে বাশের লাঠি নিয়ে তার ভাই রেজাউলকে খুন করার উদ্দেশ্যে হামলা চালায়। এ সময় ছোট ভাই রবিউল শেখ তার ভাইকে বাচানোর জন্য এগিয়ে আসলে তাকেও বাশ দিয়ে বেদম মারপিট করে। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় রেজাউল শেখে মাথা, বুক ও বিভিন্ন শরীরের আঘাত প্রাপ্ত হন। রবিউলের বাশের আঘাতে মাথায় ফেটে যায়। তাদের মারধর করার সময় স্থানীয় বাসিন্দা এগিয়ে আসলে আসামিরা দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে ত্যাগ করেন।
এ সময় রেজাউল এর সেঝ ভাই মোঃ মেসবাহ উদ্দিন খুলনায় অবস্থান করছিলো। তার বোন রিনার মোবাইলে মাধ্যমে তার ভাইকে মারপিট করার খবর শুনতে পান। তাদের দুইভাইকে গুরুত্বর জখম অবস্থায় খুমেক হাসপাতালে নিয়ে আসলে। এর ঘন্টাখানেক পর রেজাউল শেখ মারা যান। অপর ভাই রবিউল শেখ হাসপাতালে চিকিৎসা সাধীন রয়েছেন।
নিহতের ভাই শেখ রহমত আলী খুমেক হাসপাতালে এ প্রতিবেদককে বলেন, শাপল ও বাশের আঘাতের চিহৃ রেজাউল শেখ ও রবিউল ইসলামের মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে গুরুত্বর জখম রয়েছে। এর মধ্যে খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘন্টাখানেকের মধ্যে রেজাউল শেখ মারা যায়। অপর ভাই রবিউল ইসলাম মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। তাকে ওই হাসপাতালে সার্জারি ওয়ার্ডে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।