বটিয়াঘাটায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে দেশীয় নানা প্রজাতির মাছ

প্রকাশঃ ২০২১-০৭-১০ - ১৮:৪৫

ইন্দ্রজিৎ টিকাদার বটিয়াঘাটা : মাছে ভাতে বাঙ্গালী, পুটি মাছের কাঙ্গালী এ-কথাগুলি জেলার বটিয়াঘাটায় এখন শুধুই প্রবাদ মাএ। জেলার বটিয়াঘাটা উপজেলার দেশীয় প্রজাতির মাছ নানা কারনে বিলুপ্তি হয়ে গেছে। এখনও দেশীয় প্রজাতির যে -সকল মাছ পাওয়া যাচ্ছে তা ও প্রায় বিলুপ্তির পথে। উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় যে-সব সরকারী খাল,বিল,হাওড়,বাওড়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের আবাস স্থল ও বংশ বিস্তারে করে আসছিল , বর্তমানে নানা কারনে এসব খাল,হাওড়,বাওড় বিল সহ বিভিন্ন আবাস স্থল হারিয়ে গেছে। এ ছাড়া রয়েছে বৈরী আবহাওয়া কারনে প্রকৃতির ভারসাম্য হারিয়ে যাওয়া ,রাসায়ণিক সার ও কীটনাশক সহ ভূমি দস্যুদের ও কৃষি জমি নষ্ট করে অবৈধ প্লট ব্যবসায়ী দ্বারা সৃষ্ট সরকারী খাল ভরাট করে কৃএিম সমস্যার কারন হিসাবে দাবী করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এ আঞ্চলের যে সকল দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে গেছে সেগুলো হল, পাবদা,সরপুটি, নয়না/ভেদা, বড়ো, গজাল, বাওস, আড় ,বোল, কাণ, টেপা, খলিসা, ফলই ,চিতল, ভোদর ইত্যাদি।বর্তমানে যে সকল দেশীয় প্রজাতির মাছ আছে প্রায় বিলুপ্তির পথে তা হল, শৈল,টাকি,কৈ,মাগুর,সিংহী, কড়েপুঁটি ,তিত-পুটি ,মৌরলা,কুচে, ডগরা ইত্যাদি।উপজেলা প্রসাশনের উদ্দ্যোগে এ সকল সরকারি খাল ,বিল হাওড় ও বাওর গুলোর অবৈধ স্থাপনা ও দখলদারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদের জন্য বহুবার অভিযান চালিয়ে উন্মুক্ত করার চেষ্টা চালালেও নানা কারণে আবারও দখলদারীরা দখল করে নিয়েছে। অপর দিকে অবৈধ প্লট ব্যবসায়ীরা ১৯৫০ সালের প্রজাস্বত্ত্ব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কৃষি জমি ধংস করে অবৈধ প্লট নির্মান করেছে এবং উক্ত প্লটের পাশে থাকা সরকারি খাল ভরাট করে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করে প্রাকৃতি পরিবেশ ধ্বংস করছে। যে-কারণে মাছের বংশ বিস্তারের আবাস ভুূমি হারিয়ে যাচ্ছে। এব্যপারে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃমুনিরুল মামুনকে জিজ্ঞাসা করলে বলেন মাছের মাছের বংশ বিস্তারে ও তাদের বিচরনে জায়গা কমে যাওয়ায় এসব দেশীয় মাছ হারিয়ে যাচ্ছে।তবে বানিজ্যিক ভিওিতে দেশীয় চাষ করলে অনেক লাভ করা সম্ভব। তাই উপজেলাবাসী মৎস্য আধিদপ্তর ও প্রশাসনের কাছে ব্যপারটি ক্ষতিয়ে দেখার আবেদন জানিয়েছে।