বটিয়াঘাটায় যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু!

প্রকাশঃ ২০১৮-০৩-২২ - ১৪:৩৪

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি : বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালী ইউনিয়নের বুনারাবাদ উত্তর পাড়া এলাকার চিত্তরঞ্জন রায়ের পুত্র হিরামন রায় (৩৫) নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।
জানা গেছে, ঐ এলাকায় একটি মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র্র করে হিরামন রায়কে চোর সব্যস্ত করে স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহীন মোল্যা ও তার সহযোগীরা ঐ যুককে বেধড়ক মারপিট করে। মারাত্বক আহত অবস্থায় হিরামনকে রেখে সবাই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রাত ৯টা দিকে হিরামনের লাশ বিলের ভিতর ছোট একটা গাছে গলায় গামছা পেচানো অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায় হিরামনের পুত্র সত্যজিৎ। তবে মাত্র হাজার টাকা মুল্যের মোবাইল সেট চুরিকে কেন্দ্র্র করে এই হত্যা নাকি আত্মœহত্যা ? এনিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
পুত্র সত্যজিৎ জানায়, গত মঙ্গল বার সকালে একই এলাকার বিপ্র মন্ডলের একটি মোবাইল সেট চুরি হয়। তখন হিরামন রায়সহ স্থানীয় লোকজন বাসন্তী পুজার জন্য গ্রাম কালেকশন করছিল। এসময় গ্রামের মেম্বরসহ স্হানীয় লোকজন সিদ্ধান্ত নেয় এবিষয় সন্ধ্যায় শালিস বসবে । ঐদিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার সময় বুনারাবাদ স্কুলের মাঠে শালিস অনুষ্টিত হয় এবং মোবাইল চুরির অপবাদ দিয়ে প্রথমে তার বাবাকে দিয়ে ছেলে হিরামনকে মারপিট করায় কিন্ত স্থানীয় মেম্বর শাহীন, নিতিষ রায়, অধ্যই বিশ্বাস, চৌকিদারসহ অনেকের এটা পছন্দ্র না হওয়ায় মেম্বরের নেতৃত্বে আবার হিরামনকে বেদম মারপিট করে । মাত্র ২ আড়াই ঘন্টা পরে ঐ স্কুলের পাশেই ছোট একটা গেওয়া গাছে গলায় গামছা দেওয়া অর্ধ ঝুলন্ত অবস্থায় তার ছেলে সত্যজিৎ সহ ৪/৫ জন মিলে তাকে উদ্ধার করে ততক্ষণ তার মৃত্যু হয়েছে। এসকল কাহিনী বলতে বলতে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মৃত্যু হিরামন রায়ের একমাত্র পুত্র সত্যজিৎ (১৫) । সে আরও বলেন, আমার বাবার সাথে জন্ম নিবন্ধন একটা কার্ডের ব্যাপারে মেম্বরের সাথে দীর্ঘ দিন ধরে দন্দ চলছিল তবে আমার বাবাকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে এটা সঠিক। কারণ এতো ছোট গাছে একটা লোক গলায় দড়ি দিয়ে মরতে পারেনা এটা সম্পুর্ন পরিকল্পিত।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য শাহীন মোল্যা জানান, স্থানীয় শালিসে হিরামন মোবাইল চুকি করেছে সেটা প্রমাননিত হওয়ায় হিরামনের পিতা চিত্তরঞ্জন রায় হিরামনকে লাঠি দিয়ে পিটায়। পরে সে শলিস থেকে চলে গিয়ে ঘটানার অপমানে বিলের মধ্যে গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অন্যদিকে লাশটি উদ্ধার করে বুধবার মর্গে প্রেরন করা হয় এবং রাতেই তাকে দাহ করা হয়। স্থানীয় অনেকেই বলাবলি করছে এ বিষয় হত্যা মামলার প্রস্তুুতি চলছে।