বটিয়াঘাটা : বিভাগীয় শহর খুলনার পাশেই বটিয়াঘাটা উপজেলা। এই উপজেলা ৭ টি ইউনিয়ন ও ৬৩ টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ উপজেলার নির্বাহী অফিসার হাস্যজ্জল সদালাপী দেবাশীষ চৌধুরী। তিনি এই উপজেলায় চালু করতে যাচ্ছে ব্যাতিক্রম ধরনের উদ্ভাবন সেবানন্দ । তার শ্লোগান হচ্ছে সকল দুয়ার বন্ধ থাকলেও ক্ষমার দুয়ার খোলা এবং সকল দরজা বন্ধ হলেও সেবার দুয়ার খোলা। তিনি গত ১৫ সেপ্টেম্বর ১৭ সালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে যোগদান করার পর থেকে উপজেলা ব্যাপী শুরু হয় বিভিন্ন ধরনের নির্যাতিত নিপিড়িত মানুষদের খুজেবের করে বিভিন্ন ধরনের সহযোগীতা করে তাদের মুখুে হাসি ফুটানোর কাজ।এই প্রতিবেদকের সাথে কথা হয়, সামাজিক সমস্যার কারণে তিতুখালি গ্রামের মহানন্দের বাড়িতে বিদ্যুৎ বিচ্ছেদ ছিলো কিন্তু ইউএনও হস্তক্ষেপে তা সমাধা হয়েছে।কথা হয় ষাট বছরের নারীর সাথে তিনি বলেন আমাদের স্যার কাউকে ফিরায় না।কথা হয় প্রতিবন্ধী তুষার কান্তি বলেন, ইউএনও হস্তক্ষেপে তার পৈত্রিক ভিটা দখল বাজদের হাত থেকে রক্ষা পায়।কথা হয় ভুমি অফিসে আশা ৮/৯ জনের সাথে তারা আনন্দে বলেন, স্যার আমাদের আরামে বসার জন্য তৈরি করেন একটি সুন্দর বসার স্থান নাম তার সেবানন্দ ।কথা হয় কবিরাজ নাজনীন আক্তার নিপার সাথে, তার ঔষধী বাগান পরিদর্শন করেন এসময় কবিরাজ মেয়েকে পড়াশুনা বাবদ প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা দেওয়ার ঘোষনা করেন। কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত হচ্ছে শেখ রাসেল ইকো পার্ক ও বিরাট খেয়াঘাটের কাজ। তবে পার্কের কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। কথা হয় মুজিব পাগল মোস্তাফিজুর রহমানের সাথে, তিনি বলেন, ৭ ই মার্চের ভাষন আন্তর্জাতিক ভাবে স্বীকৃতি পাওয়া সর্বকালের শ্রেষ্ট আনন্দ র্যালি হয়েছিলো এই ইউএনওর আমলে। এতো লোকের সমাগম আগে কখনও দেখিনী এই উপজেলা বাসী। কথা হয় কৃষকলীগ নেতা শেখ দাউদ আলির সাথে তিনি বলেন, এলাকায় কৃষি বিপ্লব ঘটানোর ক্ষেত্রে বর্তমান সময়ের ইউএনও মহোদয় প্রতিটা কৃষকের বন্দু হয়ে গেছে, কোন সমস্যা যেন কোন সমস্যাই নয়। তিনি চায় প্রতিটা কৃষকের মুখে হাসি। কারণ তার তদারকিতে উপ সহকারী কৃষি অফিসাররা কাক ডাকা ভোরেই হাজির হয় কৃষকের দোর গোড়ায়, জানতে চায় তাদের সমস্যার কথা।সার্বিক বিষয় উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম খান বলেন, বিগত দিনের সকল ইউএনওর চেয়ে তিনি একটু ছিন্ন প্রকৃতির, তিনি সব সময় কাজ নিয়েই ব্যাস্ত থাকেন, কার মধ্যে অনেক নতুন নতুন উত্যোগ দেখতে পাচ্ছি, আমিও চাই তার দারা জনসাধারণ উপকৃত হোক।