বটিয়াঘাটা প্রতিনিধিঃ বটিয়াঘাটা উপজেলার সুরখালীর ভগবতীপুর গ্রামে সংখ্যালঘু পরিবারের ১৩ বছরের এক শিকরী ধর্ষনের শিকার হয়েছে। সে সুরখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেনীর মেধাবি ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে, গত রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার ভগবতীপুর গ্রামে তার আপন বড় বোনের শ্বশুরবাড়ীতে। এ ব্যাপারে থানায় গত সোমবার দুইজনকে আসামী ও অজ্ঞাত আরো ৪/৫জনকে আসামী করে ৯নং মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ দুইজনকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।
পুলিশ জানায়, ধর্ষিতা ছাত্রীর বাড়ি জেলার পাইকগাছা উপজেলার বামনেরাবাদ গ্রামে। তার আপন বড় বোনের বাড়ি থেকে সে লেখাপড়া করতো। স্কুলে যাওয়া আসার পথে রায়পুর গ্রামের নাছির উদ্দিন সরদারের বিবাহিত লম্পট পুত্র বাহউদ্দিন সরদার(২১) প্রায়ই উত্যক্ত করতো। এ নিয়ে ভূক্তভোগীর পরিবার স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে গনধোলাই দিয়ে তার পিতার নিকট হস্তান্তর করে। এর জের ধরে বাহউদ্দিনের ঘরে স্ত্রী ও সন্তান থাকা অবস্থায় গত রবিবার রাত ২টার দিকে ওই একই এলাকার জলিল শেখের পুত্র রবিউল শেখ(১৮) সহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫জন ভগবতীপুর গ্রামে ধর্ষিতার বাড়িতে প্রবেশ করে। ধর্ষিতা মেধাবি ছাত্রী লেখাপড়া সেরে বাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়ে পড়ে। এ সুযোগে নরপশুরা প্রথমে তার মুখ চেঁপে ধরে হাত-পা বেঁধে ফেলে। লম্পট বাহউদ্দিন তাকে জোর পূর্বক ধর্ষন করে। এ দৃশ্য তার সহযোগী রবিউল সহ অন্যান্যরা ভিডিও ধারন করে। ধর্ষিতার গোঙ্গানির শব্দ শুনে ঘর থেকে তার বোন ও ভগ্নিপতি বের হয়ে আসলে নরপিচাসরা পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় লম্পটেরা ধর্ষিতাকে কাউকে না বলার জন্য শাসিয়েও যায়। মানসম্মান ও জানমালের ভয়ে তারা প্রথম দিকে কাউকে কিছু না বলতে চাইলেও পরবর্তীতে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শিল্পপতি মোতাহার রহমান শিমুকে জানায়। শিমু সংঙ্গে সংঙ্গে ভূক্তভোগীর বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ্য অবস্থায় মেধাবি ছাত্রীকে বিছানায় দেখতে পায়। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ের এসএমসির সদস্য ও শিক্ষক মন্ডলীদের সাথে আলোচনা করে নিজেই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। এ ব্যাপারে এসএমসির সভাপতি মোতাহার রহমান শিমু জানান, ছাত্রীটি খুবই মেধাবি ও ন¤্রভদ্র। এর আগেও আসামীরা তাকে স্কুলে আসার পথে উত্যক্ত করতো। সংখ্যালঘু পরিবারের লোক হওয়ায় দোষীদের যাতে শাস্তি হয় সে জন্যই নিজে বাদী হয়েছি। তা না হলে স্থানীয় প্রভাবশালীদের চাপে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যেতো।