বটিয়াঘাটা দলিল লেখক সমিতির নির্বাচন জমে উঠেছে 

প্রকাশঃ ২০২০-০৩-১১ - ১৬:২৬

মহিদুল ইসলাম শাহীন, বটিয়াঘাটা : বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি বটিয়াঘাটা উপজেলা শাখার দ্বি বার্ষিক নির্বাচন আগামী ১৪ মার্চ। সাধারণ দলিল লেখকরা জানান, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ইউএনও মোঃ নজরুল ইসলাম এর হস্তক্ষেপ কামনা করেন । অন্যদিকে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রার্থিরা। ভোটারদের কাছে গিয়ে তাদের বিগত দিনের হালচাল তুলে ধরছেন। আবার নতুন প্রার্থীরা বিভিন্ন ধরনের ওয়াদা প্রয়োগ করে ভোটারদের মন জয় করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে নির্বাচন কালিন সরকারের দায়িত্বে থাকা ব্যাক্তি জিএম ইউনুস আলী, আলমগীর হোসেন, আলহাজ্ব আঃ হাই আকুন্জি, আনুকুল গোলদার,আমজাদ হোসেন, দীপংকর বিশ্বাস, জগদীশ রায় মিলে রিতীমত দৃষ্টি নন্দন করে ফেলেছে সমিতির কার্যালয় চত্ত্বর। অনেক দলিল লেখকবৃন্দ তাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন রুচিসম্মত অনেক গুলো কাজ উপহার দেওয়া জন্য। বিষয়টি নিয়ে অনেকের মনে নানান প্রশ্ন জেগেছে। অন্য দিকে নির্বাচনকে ঘিরে ব্যাপক প্রচারনা চালিয়ে দিনরাত ভোটারদের বাড়িতে বা অফিসে রীতিমতো শ্বশুর সেজে জামাই আপ্যায়ন করার জন্য মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে হাজির হচ্ছে ভোটেরদের নিকট। তবে ১৩ টি পদের মধ্যে বেশ কয়েকটি পদে বিনা প্রতিদন্ডিতায় নির্বাচিত হয়েছেন ৯ জন, তবে বড় বড় পদে লড়াই চলছে। সভাপতি পদে দুজন প্র্রার্থী তারমধ্যে সাবেক সভাপতি মতিন সিদ্দিকী মিঠু ও সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব শমসের আলির পুত্র সময়ের সাহসী যোদ্ধা, দলিল লেখকদের প্রানপুরুষ আমিনুল ইসলাম। সভাপতি পদ নিয়ে ভোটারদের মধ্যে নানান হিসাব নিকাশ শুরু হয়েছে তবে দু জন প্রার্খী আপন চাচাতো ভাই হওয়ায় এ সম্পর্কে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। তবে অনেক ভোটেরের মন্তব্য একই পরিবারের দুজন প্রার্থী হওয়ায় আমরা ঢাকঢোল পিটিয়ে কোন কাজ করতে পারিনা। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী ৩ জন। প্রার্থীরা হলেন সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আলহাজ্ব আঃ হালিম আকুন্জি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ বোরহান আকতার ও এস এম ফেরদৌস আলম। তবে সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোল্যা মুসা ভোটে অংশ গ্রহন করছেন না কিন্তু হালিম আকুন্জির সাথে তার একটা সু সম্পর্ক রয়েছে বলে একাধিক ভোটাররা জানান। অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে ৩ জন প্রার্থীর জনমত সম্পর্কে ভোটারদের সাথে আলাপকালে তেমন কোন মন্তব্য না করলেও অনেকের ভাবভঙ্গি দেখে মনে হয়েছে দৌড় প্রতিযোগিতায় হালিম আকুন্জি এগিয়ে আছে। সহ সভাপতি পদে প্রার্থী দুজন মোঃ নজরুল ইসলাম ও জামিল হোসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রার্থী ২ জন সাংবাদিক জহির রায়হান লালন ও সোহরাব হোসেন। কোষাদক্ষ্য পদে দুজন প্রার্খী সাবেক কোষাধ্যক্ষ ও আ,লীগ নেতা দুলাল কৃষ্ণ মহালদার এবং লুৎফর রহমান। তবে নির্বাচন হবে উৎসব মুখর ও ব্যাপক আয়োজনের মাধ্যমে ভোট সম্পন্ন হবে এবং নতুন কমিটির কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের আশা ব্যক্ত করেছেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান জিএম ইউনুস আলী ও আলমগীর হোসেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার সংরক্ষণ কমিশন বাটিয়াঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক সরদার হাফিজুর রহমান বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠু এবং দেখার মতো হবে কিন্তু গোপনে গোপনে যে প্রার্থী হাজার হাজার টাকা ছড়াতে পারবে সেই নির্বাচিত হবে। তিনি আরও জানান, নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্যরা মাত্র ৭৫ দিনে সাব রেজিস্ট্রি অফিস পাড়ার দৃশ্য উন্নয়নের মাধ্যমে পাল্টে ফেলেছে যাহা বিগত দিনের নির্বাচিত নেতৃবৃন্দের পক্ষে সম্ভব হয়নি।