বরগুনায় পর্যটনকেন্দ্রে গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার

প্রকাশঃ ২০২১-০৪-০১ - ১৯:০৯

বরগুনা : বরগুনার তালতলীর সোনাকাটা ইকোপার্কে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ।

গতকাল বুধবার (৩১ মার্চ) এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর চার জনকে আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশ অভিযুক্ত চার জনের কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।

নির্যাতনের শিকার ঐ গৃহবধূ রাইজিংবিডিকে জানান, পটুয়াখালীর কলাপাড়া এলাকা থেকে বরগুনার তালতলীতে বোনের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। বুধবার দুপুরে দুলাভাইয়ের সঙ্গে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে করে তালতলীর সোনাকাটা ইকো পার্কে বেড়াতে যান। বিকেলে তার দুলাভাই পানি কিনতে দোকানে গেলে মোটরসাইকেল চালককে মারধর করে আটকে রাখে দুই যুবক। এরপর তাকে বনের ভেতর নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে অপর দুই যুবক। পরে মোটরসাইকেল চালকের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে চার জনই পালিয়ে যায়।

মোটরসাইকেল চালক মাহবুব হোসেন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমাকে মারধর করে হত্যার হুমকি দিয়ে ওই গৃহবধূকে বনের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে বখাটেরা।’

পরে খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নেয়। এসময় স্থানীয়দের দেওয়া তথ্যমতে চার বখাটেরই পরিচয় শনাক্ত করে নির্যাতিত নারী ও মোটরসাইকেল চালক মাহবুব হোসেন।

এ ঘটনায় সোনাকাটা এলাকার সোহাগ (২৫), হাসান মিয়া (২৮), মিজানুর রহমান মিজান (২৪) ও জাহিদুলকে (২৭) আসামি করে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিত ওই নারী। তবে রাতভর অভিযান চালিয়ে একজনকেও আটক করতে পারেনি পুলিশ।

তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) ফরিদুল ইসলাম রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘নির্যাতিত নারীকে উদ্ধার করেই আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করেছি আমরা। দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারব বলে আশা করছি। নির্যাতিত নারীকে ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’

স্থানীয়রা বলছেন, নিরাপত্তা না থাকায় প্রায় প্রতিনিয়তই তালতলীর সোনাকাটা ইকোপার্ক ও শুভ সন্ধ্যা পর্যটন কেন্দ্রে ঘুরতে এসে ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয় পর্যটকরা।

তালতলী প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘তালতলীর অপার সম্ভবনার পর্যটন কেন্দ্র সোনাকাটা ইকোপার্ক ও শুভ সন্ধ্যা সমুদ্র সৈকতে প্রতি বছরই পর্যটকরা ধর্ষণসহ যৌন নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। প্রশাসনের কড়া নজরদারি না থাকলে অপরাধ কমবে না। পর্যটক শূন‌্য হয়ে পড়বে পর্যটন কেন্দ্রগুলো।’