বরিশাল : বরিশালে টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন জনপদে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কারনে জনজীবন স্থবির হয়ে পয়েছে। এ বৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে শ্রমিক ও দিনমজুর শ্রেনীর মানুষ বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
জানাযায়, বঙ্গোপ সাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের কারনে আকস্মিক বৃষ্টি হয়েছে বরিশাল নগরীতে। গত তিন দিন বৃষ্টিতেই শহরের বিভিন্ন রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫ টা থেকে পৌনে ৬ টা, শুক্রবার দুপুর ২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা এবং শনিবার সকাল ১১ টা থেকে ২ টাপর্যন্ত মুষলধারে বৃষ্টি হয়। এতে শহরের প্রধান প্রধান সড়কের মধ্যে সদর রোড, বটতলা থেকে সবগ্রাম রোড, কলেজ রোড, ভাটিখানা, আমানতগঞ্জে জলাবদ্ধতার তৈরী হয়। তলিয়ে যায় বরিশাল নগরীর বর্ধিতাংশ। এছাড়া, বিভাগের ৫টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। রুপাতলী হাউজিং এলাকার বাসিন্দা নাজমুর ইসলাম জানান, এতো প্রবল বৃষ্টিতে চলাচলই সম্ভব হচ্ছে না। তবে বরিশাল সিটি করপোরেশন জলাবদ্ধতা নিরসনে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেই। সদর রোডের ব্যবসায়ী কবির সিকদার জানান, সদর রোড পুরোপুরি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে। যানবাহন চলাচল করতে ভোগান্তি হচ্ছে। এখনো শহরের প্রধান প্রধান সড়কে পানি রয়েছে।
বরিশাল আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ বশির আহমেদ জানান, বঙ্গোপ সাগরে সৃষ্ট লঘু চাপের কারণে আকস্মিক বৃষ্টি হয়েছে। নদী বন্দরে ১ নম্বর সর্তক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছেন, বরিশাল বিভাগের ১২টি গুরুত্বপূর্ণ নদীর মধ্যে ৫টি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জলানুসন্ধান বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম জানান, বিষখালী নদী বরগুনা সদর পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, বেতাগী উপজেলা পয়েন্টে ৭ সেন্টিমিটার, পাথরঘাটা উপজেলা পয়েন্টে ১৭ সেন্টিমিটার, মেঘনা নদী ভোলার দৌলতখান উপজেলা পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার, তজুমদ্দিন উপজেলা পয়েন্টে ৫০ মেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।