এইচএম আখতারুজ্জামান, বরিশাল : বরিশাল নগরের পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের নাম পাল্টিয়ে জিয়ার নামে সাটাঁনো সেই সাইনবোর্ড অবশেষে খুলে ফেলা হয়েছে। নানা নাটকিয়তার পরবর্তীতে গত সোমবার সদর থানার মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশন সেই সাইনবোর্ড খুলে ফেলেছেন।
জানাযায়, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নামে বরিশালে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র করা নিয়ে সম্প্রতি তীব্র ক্ষোভ ও সমালোচনার ঝড় ওঠে দলটির নেতা-কর্মীদের মধ্যে। এ নিয়ে একাধিক সংবাদ প্রকাশ হয় বিভিন্ন মিডিয়ায়। নগরের ৯ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিক দলের সদস্য সচিব ও মৎস্য ব্যবসায়ী খান মোহাম্মদ কামাল জানান, সোমবার সন্ধ্যায় দেখলাম সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলা হয়েছে। আমি এর সঙ্গে জড়িত নাই। সাইনবোর্ড সাঁটিয়েছে মৎস্য ব্যবসায়ী কামাল সিকদার ও জহির সিকদার।
বরিশাল পোর্ট রোডে ইলিশসহ বিভিন্ন মাছ বেচাকেনাকে ঘিরে বরিশাল পোর্ট রোড মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র ব্যাপক জমজমাট থাকে। সেখানে দৈনিক লাখ লাখ টাকার মাছ বেচাকেনা হয়। ইলিশসহ নানা ধরনের মাছ নিয়ে বাণিজ্য চলে এই মোকামে। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরবর্তীতে মোকামটি দখল করে জিয়ার নামে সাইনবোর্ড সাঁটানো হয়। এ নিয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপির মধ্যেও বিভক্তি দেখা দেয়। দলটির জেলা (দক্ষিণ) বিএনপি সম্প্রতি এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে, যাঁরা স্বৈরাচারের দোসর, তাঁরাই এভাবে মাছের বাজারের সঙ্গে জিয়ার নাম জুড়ে দিয়ে সাধারন ব্যবসায়ীদের ওপর জুলুম করছেন। বরিশাল সদর থানা মৎস্য আড়তদার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রদল নেতা জহির সিকদার জানান, ১৯৯৫ সালে জিয়াউর রহমানের নামে পোর্ট রোড মৎস্য মোকামের জমি কেনা হয়। ওই সময়ও জিয়ার নামেই এই ঘাট ছিল। জহির সিকদার আরও জানান, নগর বিএনপির এক র্শীষ নেতার শেল্টারে আওয়ামী লীগের দোসর খান হাবিবের ভাই খান কামাল এখনো ইজারা বাবদ খাজনা নেন। আমরা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসর হলে, জিয়ার নামে সাইনবোর্ড দিতাম না।