খুলনা : ‘উন্নয়নের রোল মডেল, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ’-এই সেøাগানকে সামনে রেখে সারাদেশের সাথে তাল মিলিয়ে খুলনায় শুরু হলো তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা ২০১৮।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে এই মেলার উদ্বোধন করেন। পরে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে স্থানীয়ভাবে এই মেলার উদ্বোধন করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী নারায়ণ চন্দ্র চন্দ তাঁর উদ্বোধনী বক্তৃতায় বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ একটি পরিবর্তিত বাংলাদেশ। ২০০৮ সালের বাংলাদেশ আর ২০১৮ সালের বাংলাদেশের মধ্যে রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। গত ১০ বছরে মানুষের আয় বেড়ে তিনগুণ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নীতির কারণে এখন সাধারণ মানুষের পকেটে টাকা ঢুকছে। এমন কোন শ্রেণির মানুষ নেই যাদের কথা প্রধানমন্ত্রী ভাবেন না।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষিনাঞ্চলবাসীর জন্য আশীর্বাদ স্বরুপ। প্রধানমন্ত্রী এ অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য যতটা আন্তরিক, তেমন আন্তরিক আর কেউ নন। তাঁর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় পদ্মাসেতু, পায়রা সমুদ্র বন্দর,মংলা ইপিজেড বাস্তবায়িত হচ্ছে। দেশের এ সকল উন্নয়ন কর্মান্ডের সুফল প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে হবে। এজন্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
খুলনা সার্কিট হাউস মাঠে আয়োজিত এ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, ভূমি আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল হান্নান এবং খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান । এ সময় বিএনএস তিতুমীর এর কমোডর কমান্ডিং শামসুল আলম, মংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমোডর এ.কে.এম ফারুক হাসান, কেএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোঃ মাহবুব হাকীম সহ মুক্তিযোদ্ধা প্রতিনিধি, বিভিন্ন সকরারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী এবং সর্বস্তরের জনগণ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে মন্ত্রী মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন।
মেলা উপলক্ষে সকাল নয়টায় শহীদ হাদিস পার্ক থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু করে সার্কিট হাউস মাঠে এসে শেষ হয়।
উল্লেখ্য, ১১-১৩ জানুয়ারি চলমান এ মেলা প্রতিদিন সকাল নয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত চলবে। মেলায় ১২০টি স্টলের মাধ্যমে খুলনার সকল সরকারি দপ্তর, সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক, বীমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং এনজিও সমূহ তাদের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড প্রদর্শন করছে। এ মেলা থেকে জনগণ এক ছাতার নীচে খুলনার সকল সরকারি দপ্তরের সেবা সম্পর্কে ধারণা নিতে পারবেন। প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে।