বিজ্ঞপ্তি: খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি,জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও সাবেক বিরোধী হুইপ আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশিদ বলেছেন, ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন হলো বাঙ্গালী জাতির মুক্তির বীজবপন আর একাত্তরের স্বাধীনতা হলো তারই ফসল। দীর্ঘ এই আন্দোলনের সিংহ পুরুষ হলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মাধ্যমিক শিক্ষা জীবন থেকে তরুন মুজিব অধিকার আদায়ে মনোনীবেশ করেন, যার প্রতিফলন হয় ১৯৩৯ সালে তিনি যখন গোপালগঞ্জ মিশনারী স্কুলের ছাত্র, তখন বাংলার মূখ্যমন্ত্রী এ,কে ফজলুল হক ঐ স্কুল পরিদর্শনে আসলে বিদ্যালয়ের সমস্যা দৃঢ়তার সাথে তুলে ধরেন এবং অধিকার আদায় করেন। তিনি রাজনৈতিক ভাবে মাত্র ২৩ বছর বয়সে জাতীয় রাজনীতিতে নিজেকে সম্পৃক্ততা করেন। ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী ছাত্রলীগ গঠনে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন অন্যতম সংগঠক। পাকিস্তান গনপরিষদে বাংলা ভাষার প্রশ্নে তিনি বলেছিলেন আমি মাতৃভাষা বাংলায় মনের ভাব প্রকাশ করে বক্তব্য রাখতে চাই,অন্য কোন ভাষায় নয়। যদি বাংলায় কথা বলতে বা বক্তব্য দিতে না দেওয়া হয়,তাহলে এই পরিষদ থেকে আমি বেরিয়ে যাবো। এছাড়া চুয়ান্নর যুক্তফ্রুন্ট, ছেষাচিট্ট্রর ছয়দফা, সত্তুরের নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলিষ্ট্র নেতৃত্ব প্রদান করেন। ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষন বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে যুগ সন্ধিক্ষণ হিসেবে চিহ্নিত। কারন এই ভাষনই মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনার মূলমন্ত্র। সুতরাং আমরা বলতে পারি বাংলাদেশের ইতিহাসে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতা একই সুতায় গাঁথা একটি অধ্যায়। এসময় শেখ হারুন বঙ্গবন্ধুর যে সান্নিধ্য পেয়েছেন সে সকল ঘটনা শিক্ষার্থীদের সামনে স্মৃতিচারণ করেন। তিনি বৃহস্পতিবার দুপুরে বটিয়াঘাটার ডেউয়াতলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সাথে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মুক্তিযুদ্ধকে জানি” বিষয়ক মতবিনিময়কালে এসকল কথা বলেন। খুলনা জেলা পরিষদ কার্যালয়ে এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ফেডারেণল সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী সদস্য,খুলনা জেলা সৈনিকলীগের সভাপতি এসএম ফরিদ রানা, প্রধান শিক্ষক এসএম ওসিউর রহমান, সহকারী শিক্ষক মাওলনা কামরুল ইসলাম, দেবব্রত রায়, শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান, জান্নাতুল রিয়া, রেবতী রায়, ইশিতা মহালদার, অর্পিতা সরকার, সাথী মহালদার, সানজিদা খাতুন, অবান্তিকা কবিরাজ, তামজিদুল হক, সাজিদ হোসেন। মতবিনিময় পূর্বে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পবিত্র হজ্বব্রত পালন শেষে সুস্থ্যভাবে দেশে ফিরে নিজ এলাকায় আসায় তাকে বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।।