ঢাকা অফিস : ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন, বিআরটিসিকে ১১০০ বাস ও ট্রাক সরবরাহসহ বাংলাদেশে চারটি প্রকল্প যৌথভাবে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সোমবার দুপুরে নিজ নিজ রাজধানী থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রকল্পগুলো উদ্বোধন করেন তারা। কনফারেন্সের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার বক্তব্যে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যকার সহযোগি মনোভাব প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সম্পর্ক আরও মজবুত করবে বলে উল্লেখ করেন ।
তিনি আরও বলেন, ভারত থেকে বিআরটিসির জন্য বাস পাওয়ায় আমাদের দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। এছাড়া যানবাহন সংকটেরও অনেকটা সমাধান হবে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, পানি শোধনাগার, কমিউনিটি ক্লিনিকসহ অন্য যেসব প্রকল্পের উদ্বোধন হলো, সেগুলো বাংলাদেশের মানুষের কল্যাণে আসবে।
বিআরটিসিকে জনগণের সেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলতে; এর সুষ্ঠু রক্ষণাবেক্ষনের ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেন সরকার প্রধান। সেই সঙ্গে শেখ হাসিনা জানান, বাংলাদেশ সব ধরনের সন্ত্রাসবাদের প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি পোষণ করে এবং কোন সন্ত্রাসবাদী সংগঠনকে কখনই এদেশে আশ্রয় দেয়া হবেনা।
প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে আগামী ১১ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ভারতের নির্বাচনে নরেদ্র মোদির সাফল্য কামনা করেন।
অপরদিকে, নরেদ্র মোদি শুভেচ্ছা বক্তব্যে বলেন, পরিবহন সেক্টরসহ বিভন্ন সেক্টরে আমরা বাংলাদেশকে যে সহযোগিতা করছি তাতে বাংলাদেশের মানুষ উপকৃত হবে। এসব সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী এসময় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন পরিকল্পা তুলে ধরে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য যে কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন আমি তার সফলতা কামনা করি।’
পরে চার প্রকল্পের মধ্যে ভারত থেকে পাওয়া ঋণে কেনা ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাক বিআরটিসিকে সরবরাহের উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। বাসগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩০০টি ডাবল ডেকার, ১০০টি নন এসি, ১০০টি সিটি এসি ও ১০০টি ইন্টারসিটি এসি বাস। ট্রাকগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৫০টি ১৬ দশমিক ২ মেট্রিক টন বহন ক্ষমতা সম্পন্ন ও ১৫০টি ১০ দশমিক ২ মেট্রিক টন বহন ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক।
এ পর্যন্ত ৪৭টি বিআরটিসি বাস ও ২৫টি ট্রাক বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে। বাকি বাস ও ট্রাকগুলো চলতি বছরের জুনের মধ্যে এসে পৌঁছাবে।
এ সময় দুই প্রধানমন্ত্রী ভারত সরকারের অনুদান অর্থায়নের আওতায় জামালপুর, শেরপুর, হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৬টি কমিউনিটি ক্লিনিক উদ্বোধন করেন।
দুই প্রধানমন্ত্রী আজ যেসব প্রকল্প উদ্বোধন করেন সেগুলো হলো– ভারত সরকারের অনুদান সহায়তার আওতায় পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া পৌরসভায় ১১টি পানি বিশুদ্ধকরণ প্লান্ট এবং সার্ক দেশগুলোতে ন্যাশনাল নলেজ নেটওয়ার্ক,এনকেএন সম্প্রসারণের আওতায় বাংলাদেশে এনকেএন সম্প্রসারণ।
