বাংলাদেশ রেলওয়ে তারেক জিয়ার অনুসারীদের নিয়ন্ত্রণে; করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর ক্রয়ের নামে কোটি টাকা লোপাট

প্রকাশঃ ২০২০-০৮-১৯ - ১৭:১৫

বিপ্লব দে,চট্টগ্রাম: করোনা কালীন সময়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশে সকল স্তরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ে  কঠোর নির্দেশনা প্রদান করলেও বাংলাদেশ রেলের সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের নামে কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন টিকাদার ও তিন কর্মকর্তা।

বাংলাদেশ রেলওয়ে পাহাড়তলী, প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক, রুহুল কাদের আজাদ, সিআরবি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব )  সাবেক প্রধান ফরিদ আহমদ ও সিআরবি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব ) অতিরিক্ত  এমদাদুল হক  তাদের পছন্দনীয় ঠিকাদারদের নিয়ে কোটি কোটি টাকার করণা সুরক্ষা সামগ্রী ক্রয়ের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।

অনুসন্ধানে জানা যায় করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর জন্য এলটিএম টেন্ডার করে প্রত্যেক সেকশনের স্টোর ইনচার্জসহ উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী স্টোরে জমা না দিয়ে স্টোর ইনচার্জ থেকে রিসিভিং দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা লোপাট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

প্রধানমন্ত্রীর কঠোর নির্দেশনা সত্বেও করোনা সুরক্ষা সামগ্রী না পাইয়া ইতিমধ্যে রেলওয়ে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হলেও সাবেক হাওয়া ভবনের প্রধান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার অনুসারী ঠিকাদারদের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস করছে না।

রেলওয়ে একাধিক কর্মচারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে যে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী না পাওয়া ক্রুদ্ধ কর্মচারীরা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করলে তারা স্টরে যোগাযোগ করতে বলেন। কিন্তু প্রতিটি স্টরে যোগাযোগ করে কর্মচারীরা জানতে পারেন করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর স্টোরে জমা না দিয়ে ঠিকাদারগন তাদের কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের লেলিয়ে দিয়ে জোরপূর্বক স্টোর ইনচার্জ হইতে রিসিভিং নিয়ে গেছেন।

করোনা সুরক্ষা সামগ্রীর না পাওয়া বাংলাদেশ রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা প্রতিবেদককে আরো জানান ঠিকাদাররা টেন্ডার নিয়ে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান করে কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

আরও জানান উক্ত ঠিকাদারদের রয়েছে এক বিশাল কিশোর গ্যাং। কোন কর্মচারী ওই ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলে অফিস থেকে বের হওয়ার সময় কিশোর গ্যাং এর মাদকাসক্ত ক্যাডাররা করোনা সুরক্ষা সামগ্রী না পাওয়া বিক্ষুব্ধ কর্মচারীদের অফিসের বাইরে মারধর ও লাঞ্ছিত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

জানা যায় বিএনপি-জামাত সরকার আমলের হাওয়া ভবনের সদস্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার প্রধান অর্থ যোগানদাতা রেলের এক প্রভাবশালী ঠিকাদারের লাইসেন্স বাতিল করার জন্য সাবেক রেলমন্ত্রী মজিবুল হক নির্দেশ প্রদান করলেও বর্তমান রেলমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বর্তমান সচিব ও ডিজি কে ম্যানেজ অন্য ঠিকাদারী লাইসেন্স ব্যবহার করে সে এখনো বাংলাদেশ রেলের সমগ্র টেন্ডার-লিজ ও নিয়োগ বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

আরো জানা যায় বর্তমান সরকারের কিছু সুবিধাভোগী নেতা-কর্মীদের ম্যানেজ করে অন্য ঠিকাদারদের লাইসেন্স ব্যবহার করে রেলের হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট করার সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি। উক্ত টাকার একটি অংশ লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার কাছে পাঠানো হয় বলে নির্ভরযোগ্য সূত্র নিশ্চিত করেছেন।

ঠিকাদার কর্তৃক স্টোরে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী জমা না দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে জানতে চাইলে সিআরবি সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক (পূর্ব ) অতিরিক্ত প্রধান এমদাদুল হক প্রতিবেদককে জানান আমরা টেন্ডার করে সুরক্ষা সামগ্রী গ্রহণ করেছি এ বিষয়ে কোনো অনিয়ম হয়নি বলে তিনি জানান।

ঠিকাদার কর্তৃক স্টোরে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী জমা না দিয়ে সরকারি টাকা আত্মসাতের বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বাংলাদেশ রেলওয়ে পাহাড়তলী  প্রধান সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক রুহুল কাদের আজাদ প্রতিবেদককে অফিসে দেখা করার অনুরোধ জানান।