বাজারে পণ্যের দাম কমছে

প্রকাশঃ ২০২৩-০৩-২৯ - ১১:৪৭

বাজার এমন এক জায়গা যেখানে একচেটিয়া ব্যবসা করার সুযোগ যেমন আছে, তেমনি প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রও তৈরি করা সম্ভব। চলমান বাজার ব্যবস্থাপনার সমান্তরালে পৃথক একটি বাজার ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা গেলে সাধারণ মানুষের জন্য সেটা অনেকটাই স্বস্তির কারণ হবে। সেই সঙ্গে নিয়মিত বাজার মনিটর করা গেলে অসাধু ব্যবসায়ীরাও পণ্যের দাম নিয়ে কোনো কারসাজি করতে পারবে না। সে ক্ষেত্রে বিকল্প বাজার ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সেখানে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে।

রোজার মাসে সারাদেশে এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পাঁচটি পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

অন্যদিকে এই সুলভ মূল্য আসলেও সুলভ কি না এমন আলোচনাও রয়েছে। আমরা ধরেই নিচ্ছি সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে জনগণকে যথাসম্ভব কম মূল্যে পণ্য দেওয়া। ভোক্তাদেরও তো চাওয়া থাকতে পারে যে বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আরো কম মূল্যে কিভাবে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

বিকল্প এই বাজার ব্যবস্থাপনার প্রভাব পড়েছে বাজারে। এটি একটি ইতিবাচক দিক। ইফতারি তৈরির উপকরণের দামও কিছুটা কমেছে বলে প্রকাশিত খবরে জানা যায়।

পণ্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজার মাসের প্রথম দিনই দেশের বাজারে অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এটিও একটি ইতিবাচক দিক। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য থেকে শুরু করে চাল, মাছ, মাংস, সবজির বাজার তদারকিতে রাখলে তার ইতিবাচক প্রভাব বাজারে পড়বে।

আমরা এমন একটি বাজার চাই, যেখানে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে। বাজার একচেটিয়া কারো হাতে চলে যাবে না। অদৃশ্য যে সিন্ডিকেটের কথা শুনতে পাওয়া যায়, সেই সিন্ডিকেটের কাছে বাজার জিম্মি হবে না এটা নিশ্চিত করা গেলেই পণ্যের দামে প্রভাব পড়বে বলে আমরা মনে করি।