বাড়িতে ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে রয়েছেন দাদা ও বৌদি

প্রকাশঃ ২০২২-০৫-০৭ - ১২:৩৩

আর্ন্তজাতিকঃ কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট (Robinson Street) কাণ্ডের ছায়া এবার বাঁকুড়ায় (Bankura)। বাড়িতে ভাইয়ের মৃতদেহ আগলে রয়েছেন দাদা ও বৌদি। পরে প্রতিবেশীদের তৎপরতাতেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। শুক্রবার রাতে মৃতদেহ উদ্ধার হলেও ঘটনাটি শনিবার সকালে প্রকাশ্যে আসতেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।পুলিশ জানায়, মৃতের নাম সনৎ কর্মকার (৫৬) বাঁকুড়া শহরের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোলতলা এলাকার বাসিন্দা সনৎ অবিবাহিত। দাদা, বৌদির সঙ্গেই থাকতেন তিনি। শুক্রবার রাতে তাঁদের বাড়ি থেকেই সনতের দুর্গন্ধময় দেহ উদ্ধার হয়। দিন দুয়েক আগেই সনৎ কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান। যদিও তাঁর দাদা অশোক কর্মকারের দাবি, শুক্রবার সকালেই ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা স্পষ্ট নয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অশোক কর্মকার ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সনৎ কর্মকার বাঁকুড়ার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দোলতলা এলাকায় নিজেদের বাড়িতেই থাকতেন। দুই ভাই মিলে রেডিয়ো ও টেপ রেকর্ডার মেরামতির দোকান চালাতেন। তাঁরা প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিশেষ কথাবার্তা বলতেন না। গত কয়েকদিন ধরেই সনৎ কর্মকারকে দেখা যাচ্ছিল না বলে এলাকাবাসী জানিয়েছেন। এরপর শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে পচা দুর্গন্ধে ভরে যায় গোটা দোলতলা এলাকা। দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে-খুঁজতে এলাকাবাসী অশোক কর্মকারের বাড়িতে পৌঁছলে তিনি জানান, ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে এবং মৃতদেহ বাড়িতেই পড়ে রয়েছে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারাই পুলিশে খবর দেন। তারপর বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মৃতদেহ দেখে পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, অন্তত দু-দিন আগে সনৎ কর্মকারের মৃত্যু হয়েছে। তবে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। যদিও অশোক কর্মকারের দাবি, শুক্রবার দুপুরেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু একবেলার মধ্যে কীভাবে দেহটি পচে যাবে, দুর্গন্ধ ছড়াবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসবে বলে জানিয়েছে বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের শুরুতেই উত্তর ২৪ পরগনার নিউ টাউনে এরকমই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। নিউ টাউনের CD ব্লকের একটি বহুতলে চার-পাঁচ দিন ধরে ছেলে ও মেয়ের মৃতদেহ আগলে বসেছিলেন বৃদ্ধা মা মালা কুঞ্জ।

সূত্রঃ এই সময়