ডুমুরিয়া: ডুমুরিয়ায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতার সাথে সাথে প্রশাসনিক তৎপরতা বৃদ্ধি হলেও মুলতঃ এর তেমন কোন প্রতিকার হয়নি। বরং একের পর এক ঘটে চলেছে বাল্য বিবাহের ঘটনা। সম্প্রতি গত ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবারে উপজেলা সদরের মির্জাপুর গ্রামে ৬ষ্ঠ শ্রেনীতে পড়–য়া এক স্কুলছাত্রীর বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। বরের বাড়িও একই গ্রামে। এ ঘটনার ছয় দিন পরে ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছে প্রশাসন।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ডুমুরিয়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে গত ১২ অক্টোবর বৃহস্পতিবার পালিত হয় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধ দিবস। আর ঠিক ওই দিনেই উপজেলা সদরের মির্জাপুর গ্রামে স্কুলছাত্রী সুমি সরদারের (১৩) বিবাহ সম্পন্ন হয়েছে। মেয়েটি ওই গ্রামের ভাড়াটিয়া হারান চন্দ্র সরদারে কন্যা ও মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেনীর ছাত্রী। আর বিয়ে হয়েছে একই গ্রামের মোদন মোহন মন্ডল ছেলে দেবাশীষ মন্ডলের (৩২) সাথে। এ বিষয়ে মির্জাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কান্তি হালদার বলেন, সুসি ক্লাসের মোটামুটি ভাল ছাত্রী। নিয়মিত স্কুলে আসতো এবং ক্লাসে পড়াশুনাও ঠিকঠাক মত করতো। আজ তিন দিন দেখছি সুমি স্কুলে আসেনি। খোঁজ নিয়ে শুনেছি ওকে নাকি বিয়ে দেওয়া হয়েছে। এভাবে ওকে বিয়ে দেওয়া মোটেই ঠিক হয়নি। সুমি’র মা তিলত্বমা রানী বলেন, আমার মেয়ের সাথে ওই ছেলের পরিচয় হওয়ার পর ছেলে পক্ষ বিয়ের কথা বলে। তখন আমরা রাজি হয়ে বিয়েটা সম্পন্ন করেছি। বর দেবাশীষ’র মা শিপ্রা রানী বলেন- ওদের দু’জনের সম্মতি থাকায় আমরা রাজি হয়ে বিয়ে দিয়েছি। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হাসি রানী বিশ্বাস বলেন, এ ধরনের খবর পেয়েই প্রশাসনিক ভাবে ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত বর-বউসহ তাদের অভিভাবকদেরও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে।