ঢাকা অফিস : সুলতান মনসুর ও মোকাব্বির খানের শপথ গ্রহণের পর বিএনপির নির্বাচিত অন্য ছয়জনকেও শপথ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন তাদের নির্বাচনি এলাকার ভোটাররা।
ভোটের মর্যাদা রক্ষার পাশাপাশি তাদের দাবি, সংসদে গিয়ে নির্বাচিতদের সরকারবিরোধী আন্দোলন বেগবান করা উচিত। তবে, নিজের ইচ্ছা থাকলেও দলীয় বাধায় শপথ না নেয়ার কথা জানান বিএনপির এক সংসদ সদস্য।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আটজনের মধ্যে শপথ নিয়েছেন দু’জন। তবে, এই দু’জনই গণফোরামের। অন্য ছয়জনই বিএনপির নেতা ও ধানের শীষ প্রতীকে নির্বাচিত।
এই ছয় সংসদ সদস্যের নির্বাচনি এলাকার ভোটারদের সঙ্গে কথা বললে বেশিরভাগই ভোটারই শপথ নেয়ার পক্ষে মত দেন।
বিএনপির এ ছয় প্রার্থীর ভোটাররা বলেন, ‘তারা যদি সংসদে না বসেন তাহলে তো জনগণ দায়ী না, এটা তাদের ব্যর্থতা। কিন্তু এর জন্য জনগণ ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। তাদের এই সিদ্ধান্ত সঠিক নয় উল্লেখ করে স্থানীয়রা বলেন, ‘উনারা আমাদের উপকারের জন্যই সংসদে যাবেন এবং নির্বাচনি এলাকা ও জনগণের কথা বলবেন কিন্তু তারা তা করছেন না।‘
আবার অনেকেই বলেন, ‘তারা যদি শপথ না নেন বা সংসদে না যান তাহলে এই এলাকার মানুষ সংসদ সদস্য বিহীন হয়ে পড়বে। এতে, এলাকার উন্নয়ন ব্যহত হবে।’ ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন, ‘তারা যদি শপথ না নেন তাহলে ভোটার হিসেবে ধরেই নেব উনারা আমাদের অবজ্ঞা করছেন।‘
তাদের এই সিদ্ধান্তে হয়তো দলের ভালো হচ্ছে কিন্তু এতে তো জনগণের ক্ষতি হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন স্থানীয় এক ভোটার।
তবে, চাপাইনবাবগঞ্জের এক ভোটার মনে করেন, বিএনপি যদি সরকার বিরোধী আন্দোলন জোরদার করা বা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তারা যে ছয়জন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছে তাদেরই সংসদে যাওয়া উচিত।
সংসদে যোগ দিয়ে আন্দোলনের পরামর্শের পাশাপাশি শপথ নিতে না চাইলে উপ-নির্বাচনের কথাও বলেন কেউ কেউ।
ভোটাররা বলেন, সংসদে কে গেল আর কে গেলনা তা না দেখে, তাদের যে এলাকা থেকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করা হয়েছে সেই এলাকার জনগণের কথা বলার জন্য সংসদে যাওয়া উচিত। আর যদি তারা শপথ না নেন তাহলে উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংসদ সদস্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। যাতে, এলাকার জনগণের সুখ দুঃখের কথা তুলে ধরতে পারে।
ঠাকুরগাঁও-৩ আসনে নির্বাচিত বিএনপি প্রার্থী জানালেন, ইচ্ছা থাকলেও, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যেতে পারছেন না তিনি।
ঠাকুরগাঁও-৩ থেকে নির্বাচিত বিএনপির প্রার্থী জাহিদুর রহমান জাহিদ বলেন, ‘জনগণের ভোটের দ্বারা আমি নির্বাচিত হয়েছি তাই এলাকার উন্নয়নের জন্যই কাজ করতে হবে।’ এছাড়া নিজের কাজ করার ইচ্ছাও রয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির এই প্রার্থী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হল দল কি সিদ্ধান্ত নেয়।‘