বিজ্ঞপ্তি : দেশে যে গণতন্ত্র নেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গণতন্ত্র সম্মেলনে বাংলাদেশের দাওয়াত না পাওয়াই তার প্রমাণ উল্লেখ করে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলন হয়েছে। সেই সম্মেলনে এই উপমহাদেশের পাকিস্তান, নেপালও দাওয়াত পেয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। গত বছরও পায়নি, তার আগের বছরও পায়নি। এতেই প্রমাণ হয় দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রবিহীন একটি রাষ্ট্র চলছে। সংবিধান বিশেষজ্ঞরা প্রশ্ন তুলেছেন, দুদকের চেয়ারম্যান এবং কমিশনাররা অবসর নেওয়ার পর সরকারের লাভজনক পদে নিয়োগ পেতে পারেন কিনা? দুদকের ৯ নম্বর আইনে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, তারা সরকারের কোনো লাভজনক পদে যেতে পারেন না। তারপরও আওয়ামী লীগ দুদকের সাবেক কমিশনারকে রাষ্ট্রপতি করেছে। তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সমালোচনা করে বলেন, বিদেশী প্রভুদের কাছে বিএনপি নয়; আওয়ামী লীগই ধর্ণা দিচ্ছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চায় ১৪,১৮ সালের মত নির্বাচন করে আবারো ক্ষমতায় থাকতে কিন্তু বাংলাদেশে হাসিনার অধিনে আর কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক তারেক রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের জনগন রাজপথে নেমে এসেছে। ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত জনগন আর ঘরে ফিরে যাবে না। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গ্যাস, বিদ্যুৎ, চাল, ডাল, তেল, আটাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য ও সার, ডিজেলসহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা পুর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, সাহাবুদ্দিন সাহেব একটিই কাজ সফলতার সঙ্গে করেছেন। একটি মিথ্যা মামলা তিনি খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দিয়েছেন। যে মামলার কোনো ক্লু নেই, যেই মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা হতে পারে না। সাহাবুদ্দিন চুপ্পু সাহেব অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে দুদকের মামলাটি পরিচালনা করে খালেদা জিয়ার সাজার ব্যবস্থা করেছেন। এই কারণেই আওয়ামী লীগের অনেক সিনিয়র নেতারা থাকতেও ৭৫ বছরের দলটি একজন নেতা খুঁজে পেলেন না যাকে রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার পতন ঘটাতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ১০ দফা থেকে আমাদের এক দফায় নেমে আসতে হবে। সেই এক দফায় শেখ হাসিনার পতন ঘটিয়ে একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া দেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই লক্ষ্যে আজকে দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এড. নিতাই রায় চৌধুরি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব রকিবুল ইসলাম বকুল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু। খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, আবুল কালাম জিয়া, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল প্রমুখ। সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যলয়ের সামনে থেকে পথযাত্রা শুরু হয়ে স্টেশন রোড, পাওয়ার হাউজ মোড়, ফেরিঘাট, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়। পদযাত্রায় ১০দফা দাবি সম্বলিত বিভিন্ন প্লাকার্ড, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের ছবি, জাতীয় ও দলীয় পতাকা নিয়ে নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন। এ সময় রাস্তার দুইপাশে উপস্থিত সাধারণ মানুষ করতালি দিয়ে পদযাত্রা কর্মসুচির প্রতি সমর্থন জানান।