ঢাকা অফিস : দলের দুঃসময়ের কাণ্ডারি আর যতো ত্যাগী নেতাই হোন না কেন- উপজেলা নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থীর হয়ে শৃঙ্খলা ভাঙ্গার শাস্তি পেতেই হবে। এ কথা বলেছেন আওয়ামী লীগ নেতারা। জানালেন, আগামী মাসের শুরুতেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গেলো ১০ই মার্চ শুরু হয়ে পাঁচ ধাপের শেষ হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। একে ঘিরে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের তৃণমূলে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা। প্রায় আড়াইশো নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে দলীর প্রাথীর বিরুদ্ধে লড়েন এ নির্বাচনে। তাদের সমর্থন দেয়ার অভিযোগ আছে তৃণমূলের আরো ৬ জনের মতো নেতার বিরুদ্ধে।
৫ই এপ্রিল দলের কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা। তারপর পাঁচমাস পার হতে চললেও শাস্তিমুলক ব্যবস্থা নেয়া যায়নি নানা কারণে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, ‘বিদ্রোহী প্রার্থীদের কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় ভাবমূর্তী যে নষ্ট হচ্ছে বা তৃণমূলে আমাদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। বেশির ভাগ নেতাকর্মী মনে করেন, দলের ভেতরে থেকে যারা বেইমানি করে এই ধরনের নেতাকর্মীদের দাঁত ভাঙা জবাব দিলে ভবিৎষতে আমরা ভালো থাকবো।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘হঠাৎ করে বন্যা, ডেঙ্গু, শোকের মাস- এ কারণে এই মাসে আমরা কাউকে শোকজ বা চিঠি দেয়া থেকে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।’
দলীয় শৃঙ্খলা বজায় রাখতে অভিযুক্তদের ব্যাপারে কঠোর মনোভাব রয়েছে কেন্দ্রীয় নেতাদের। মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ‘দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সরাসরি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেয়া– এটা কোনো দায়িত্ববান নেতাকর্মীর আচরণ হতে পারে না।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘শেখ হাসিনার স্বাক্ষরিত মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। সেই মনোনয়নের বিরোধিতা করার অধিকার কারো নেই। সে যত ত্যাগিই হোক।’
সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যেই কারণ দর্শানোর চিঠি হাতে পাবেন অভিযুক্তরা। জবাব সন্তোষজনক না হলে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে দল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারা।