বিভিন্ন দাবীতে বটিয়াঘাটায় লোকজ ও কৃষক ফেডারেশনের সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশঃ ২০২০-০৬-২২ - ১৬:২৫

প্রেস বিজ্ঞপ্তিঃ কৃষি-প্রাণবৈচিত্র্য রক্ষা এবং কৃষকের অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবীতে আজ ২২ জুন ২০১০ বটিয়াঘাটা লোকজ সভা কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লোকজ ও মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের যৌথ আয়োজনে লোকজের নির্বাহী পরিচালক দেব প্রসাদ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে কৃষকের দাবী সম্মিলিত লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল। এসময় সাংবাদিক হিসাবে উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রতাপ ঘোষ, ইন্দ্রজিৎ টিকাদার, মো: আহসান কবির, শাহীন বিশ্বাস, রিংটর মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া প্রশ্নোত্তর পর্বে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কৃষক ফেডারেশনের সহসভাপতি আশালতা হালদার, মো: মনসুর আলী শেখ, নিকুঞ্জ বিহারী সরকার, তাপস মল্লিক, মো: ফজলুর রহমান, লোকজের সমন্বয়কারী পলাশ দাশ, মিলন কান্তি মণ্ডল প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জার্মানীর দাতা সংস্থা মিজারিও-এর সহায়তায় লোকজ কৃষক নেতৃত্বে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। প্রকল্পের মাধ্যমে লোকজ বটিয়াঘাটা উপজেলার গঙ্গারামপুর, ভান্ডারকোর্ট ও বটিয়াঘাটা সদর ইউনিয়নের ১৭টি গ্রামের দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক কৃষকদের সংগঠিত করে ২৫টি কৃষক সংগঠন গড়ে তুলেছে। লোকজ জার্মানীর দাতা সংস্থা মিজারিওর সহায়তায় ‘কৃষক নেতৃত্বে কৃষি উন্নয়ন প্রকল্প’ বাস্তবায়ন করে আসছে। প্রকল্পের মাধ্যমে লোকজ এলাকায় দরিদ্র ও পিছিয়ে পড়া প্রান্তিক কৃষকদের সংগঠিত করে বটিয়াঘাটা, গঙ্গারামপুর ও ভাণ্ডারকোট ইউনিয়নে ১৭টি গ্রামে ২৫টি কৃষক সংগঠন গড়ে উঠেছে। এনজিওদের মাইক্রোক্রেডিটের বিপরীতে সংগঠনগুলো স্বনির্ভর ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করছে। বটিয়াঘাটায় কৃষক সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশন। সংগঠিত কৃষক সংগঠন কৃষিকে টিকিয়ে রাখতে নিজস্ব জ্ঞান, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও অভিযোজন কৌশল দ্বারা কৃষকের নেতৃত্বে কৃষি উন্নয়নে নিরন্তর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। গঙ্গারামপুর গ্রামের কৃষক আরুনী সরকার ২০১০ সালে দেশীয় প্রজাতির ১০টি জাতকে মাদার ও ১০টি জাতকে ফাদার করে ইমাসকুলেশন ও পলিনেশনের মাধ্যমে ব্রিডিং করে ৬টি জাত উদ্ভাবনে সফল হয়ে পর্যায়ক্রমে ২০১০ হতে F-1, F-2, F-3, F-4, F-5, F-6, F-7, F-8, F-9 I F-10 পর্যায়ে পৌঁছেছে। এবছর ২০২০ সালে F-10 পর্যায়ে এসেছে। ২০২০ সালে আমন মৌসুম শেষে এই নতুন জাতগুলো কৃষকদের নিকট দেওয়া সম্ভব হবে। এই জাতগুলোর মাদার ফাদার থেকে ফলন বেশি, গাথুনি ঘন, শীষ লম্বা ও দুর্যোগ সহিষ্ণু হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনের লোকজ মৈত্রী কৃষক ফেডারেশনের পক্ষ থেকে লিখিত বক্তব্যে কোভিড ১৯ মোকাবিলায় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে কৃষিতে ভর্তুকী বাড়ানো, প্রকৃত কৃষকের কাছ থেকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সঠিক সময়ে ধান ক্রয়, কৃষি ঋণ গ্রহণে ব্যাংকের ঘুষ গ্রহণ বন্ধ, বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলার আংশিক এলাকা তরমুজ জোন ঘোষণা ও সার্বিক সহযোগিতা প্রদান, কৃষি জমি রক্ষা, সকল নদী-খালের অবৈধ নেট, পাটা, কোমর ও বাঁধ অপসারণ, ফড়িয়াদের সিন্ডিকেট বিলুপ্ত করে কৃষকদের ফসলের লাভজনক মূল্য নির্ধারণ করাসহ বেশ কিছু দাবী উত্থাপন করা হয়।