ইউনিক ডেস্ক : রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের অভিযোগে রাজধানীর বাড্ডা থানার মামলায় বুয়েট শিক্ষক অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধরের নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শহিদুল ইসলাম ডিবি পুলিশের দেওয়া সম্পূরক চার্জশিট গ্রহণ করে এ আদেশ দেন।
এ মামলার মোট ১৬ জন আসামির মধ্যে অধ্যাপক ড. নিখিল রঞ্জন ধর পলাতক থাকায় আদালত তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। আগামী ৯ মার্চ পরোয়ানা সংক্রান্ত তামিল প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামীম আহমেদ আদালতে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন। যেখানে ৩৪ জনের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেলেও ১৮ জনের ঠিকানা না পাওয়ায় ১৬ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা চার্জশিটে নিখিল ধরকে ‘পলাতক’ দেখিয়ে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেন।
সিএমএম আদালতে বাড্ডা থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা রণপ কুমার এসব তথ্য জানান।
গত বছরের ১০ নভেম্বর এ তদন্ত কর্মকর্তা অধ্যাপক নিখিলকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে ১৫ জনের নামে চার্জশিট দাখিল করেন। সেখানে তদন্ত কর্মকর্তা বলেছিলেন, আদালতে দেওয়া আসামি দেলোয়ারের জবানবন্দি অনুযায়ী ঘটনায় জড়িত সন্দেহে সন্দিগ্ধ আসামি ড. নিখিল রঞ্জন ধরের নামে মামলার ঘটনার বিষয়ে জড়িত থাকার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এজন্য তার নামে মামলার দায় প্রমাণ করা সম্ভব হয়নি। এরপর গত ২৫ জানুয়ারি আদালত অভিযোগপত্রে নিখিলের নাম বাদ পড়া নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। একইসঙ্গে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করে ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিলের নির্দেশ দেন। সে অনুযায়ী গত ৩০ জানুয়ারি এ সম্পূরক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
২০২১ সালের ৬ নভেম্বর বিকেল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত পাঁচ ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এক হাজার ৫১১টি পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন এক লাখ ১৬ হাজার ৪২৭ জন। বাংলাদেশ ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটির আওতায় পাঁচ ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) নিয়োগে এ পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার পর চাকরি প্রত্যাশীদের অনেকেই প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ তোলেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ১০ নভেম্বর ডিবি তেজগাঁও জোনাল টিমের উপপরিদর্শক সুকান্ত বিশ্বাস বাড্ডা থানায় মামলা করেন।