বেতগ্রাম-তালা-পাইকগাছা-কয়রা সড়ক উন্নতিকরণে স্থানীয় পর্যায়ে মতবিনিময় সভা

প্রকাশঃ ২০২৫-০১-২৭ - ২১:০৮

খুলনা প্রতিনিধিঃ “বেতগ্রাম- তালা-পাইকগাছা – কয়রা সড়ক যথাযথ মানে উন্নতিকরণ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের আওতায় স্থানীয় পর্যায়ে মতবিনিময় কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল সংযুক্ত ছিলেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমইডি (অতিরিক্ত সচিব) মহাপরিচালক কানিজ মওলা। আয়োজিত কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন, সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ তানিমুন। এ সময় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের আইএমডি (উপসচিব) উপ-পরিচালক মশিউর রহমান। এ ছাড়াও কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, ভার্চুয়াল সংযুক্ত আইএমডি (উপসচিব) পরিচালক মোছা. নাজমা নাহার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহেরা নাজনীন, টিম লিডার ইঞ্জি. মো. আবুল কাদের, উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাফিন শোয়েব, ইঞ্জি. শফিকুল ইসলাম। কর্মশালায় ইএসিআর সার্ভিসেস এর নির্বাহী পরিচালক ইয়াসিন আরাফাত এর সঞ্চালনায় আরও বক্তৃতা করেন, এসডিই-১, আরএইচডি সাগর সৈকত মন্ডল, এসএই-১ আরএইচডি মো. রাশিদুল রেজা, পৌর বিএনপি’র আহ্বায়ক সেলিম রেজা লাকি, শিক্ষক মো. সাইদুর রহমান, ষোলআনা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিএম শুকুরুজ্জামান, ঠিকাদার শফিয়ার রহমান, সাইফুল ইসলাম, মো. আ. সালাম, পরিবহণ সমিতির সেক্রেটারি মো. আবু সাদ, সাহাজাহান কবির, ইমাম মো. আবুল হাসান, হুরায়রা বাদশা, রত্না, নাজনীন নাহার প্রমুখ। এসময় পরিবহন সমিতির সদস্য, শিক্ষক শিক্ষার্থী, ঠিকাদার, ব্যবসায়ী, চাকুরীজীবী, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। আয়োজিত কর্মশালায় “বেতগ্রাম- তালা- পাইকগাছা-কয়রা সড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণ (১ম সংশোধিত)” শীর্ষক প্রকল্প প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২৫ পযর্ন্ত বাস্তবায়নকাল নির্ধারণ করা হয়। ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ৫৭.০৫% (২১,৬৫১ লক্ষ টাকা) এবং ভৌত কাজের অগ্রগতি ৬৪.৫০%। কর্মশালায় সড়ক নির্মাণ কাজের মান উন্নয়ন, দুই লেন এ উন্নীতকরণ, বাক সরলীকরণ, কাজের ধীর গতি, ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সহ নানা বিষয়ে উঠে এসেছে। কপিলমুনি ও আগড়ঘাটা সহ সংশ্লিষ্ট এলাকার রাস্তা ভেঙে পড়েছে, যা দ্রুত মেরামত করা অত্যন্ত জরুরি। অংশীজনগণ মনে করেন, এ রাস্তাটির কাজ দ্রুত শেষ করা প্রয়োজন। তারা আরও উল্লেখ করেন যে, রাস্তার বাঁকগুলো সরলীকরণ করা এবং রোড সাইনগুলো দৃশ্যমান করা হলে দুর্ঘটনার ঝুঁকি উল্লেখযোগ্য ভাবে হ্রাস পাবে। তাদের মতে, রাস্তার উন্নয়ন সম্পন্ন হলে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য কার্যক্রমের ব্যাপক প্রসার ঘটবে। বিশেষ করে মৎস্য ও তরমুজ ব্যবসার মতো স্থানীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম আরও বিস্তৃত ও সমৃদ্ধ হবে।