যশোর অফিস : যশোরের বেনাপোলে সন্ত্রাসীদের হামলায় দুই সাংবাদিক আহত হয়েছেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের যশোর প্রতিনিধি জিয়াউল হক ও ক্যামেরামপার্সন শরীফ হোসেন। তাদেরকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত জিয়াউল হকের অবস্থা গুরুত্বর ।
জিয়াউল হক জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে বেনাপোল কাস্টমসের সামনে শ্রমিকরা বিক্ষোভ মিছিল করছিল। এসময় ক্যামেরাপার্সন শরীফ মিছিলের ফুটেজ নিচ্ছিল। এসময় স্থানীয় সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিনের অনুসারী সন্ত্রাসীরা স্লোগান দিয়ে শরীফের ওপর হামলা চালায়। তাকে ঠেকাতে গেলে সন্ত্রাসীরা আমাকে মারপিট করে। ক্যামেরা ভাংচুর করা হয়। এক পর্যায়ে আমরা দুজন পার্শ্ববর্তী একটি দোকানে আশ্রয় নিই। সেখানেও সন্ত্রাসীরা বোমা নিক্ষেপ করে। এক পর্যায়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করেছে।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্তাবধায়ক কামরুল ইসলাম বেনু বলেন, জিয়াউল হকের মাথায় আঘাত লেগেছে। তার অবস্থা গুরুত্বর। আর শরীফের শরীরে একাধিক স্থানে আঘাত লেগেছে। তবে তার আশংকামুক্ত।
এদিকে, দুই সাংবাদিকের ওপর হামলার প্রতিবাদে যশোরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সাংবাদিকরা। যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের উদ্যোগে দুপুরে প্রেসক্লাব থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের দড়াটানা হয়ে আবার প্রেসক্লাবে এসে শেষ হয়। প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) সহ-সভাপতি মনোতোষ বসু, প্রেসক্লাব যশোরের সম্পাদক এসএম তৌহিদুর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক ফখরে আলম, বিএফইউজে সাবেক যুগ্ম মহাসচিব ফারাজী আহমেদ সাঈদ বুলবুল, যশোর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সাজেদ রহমান বকুল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মিলন,ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মুনিরুজ্জামান মুনির। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ক্ষমতাসীন দলের একজন জনপ্রতিনিধির মদদপুষ্ট চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা জিয়াউল হক ও শরীফের উপর হামলা করেছে। হামলাকারীরা ওই নেতার নামে শ্লোগান দিয়ে মারপিট করেছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আগামি ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। অন্যথায় যশোরের সাংবাদিক সমাজ বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
এদিকে ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোর। এক বিবৃতিতে সাংবাদিক ইউনিয়ন যশোরের সভাপতি নূর ইসলাম, সহ-সভাপতি শহিদ জয়, সাধারণ সম্পাদক এম আইউব, যুগ্ম সম্পাদক গোলাম মোস্তফা মুন্না, দপ্তর সম্পাদক তরিকুল ইসলাম তারেক, কোষাধ্যক্ষ আকরামুজ্জামান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মীর কামরুজ্জামান মনি, নির্বাহী সদস্য অনুব্রত সাহা মিঠুন প্রকৃত হামলাকারীদের খুঁজে বের করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।