ঢাকা অফিস : একটি বহুতল ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে চিরকুট হাতে নিয়ে আত্মঘাতি হন মো. রাকিব (১৮) নামে এক তরুণ। পুরান ঢাকার সদরঘাট এলাকায় গ্রেটওয়াল শপিং সেন্টার অথবা মল্লিক টাওয়ারের কোনো একটি ভবন থেকে পড়ে মারা যান তিনি। নিহতের লাশের পাশ থেকে যে চিরকুটটি মিলেছে তাতে লেখা রয়েছে- ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। চিরকুট ও তার হাতের কিছু অংশ জুড়ে কাটা দাগও রয়েছে। এসব আলামত দেখে স্থানীয়রা ধারণা করছেন, সুইসাইড গেম ‘ব্লু হোয়েল’র নির্দেশে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন ওই তরুণ।যদিও পুলিশ বলছে, ঘটনাটি আত্মহত্যা কিংবা হত্যাকাণ্ড যাই ঘটুক না কেন এখন পর্যন্ত রাকিবের মৃত্যুর সঙ্গে ব্লু হোয়েলের কোনো সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মিটফোর্ড হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কোতয়ালি থানার ওসি এ বি এম মশিউর রহমান আমাদের সময়কে জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে রাস্তা থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাকিব পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। সদরঘাটের শরীফ মার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারি ছিলেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, সদরঘাটের গ্রেটওয়াল শপিং সেন্টার বা মল্লিক টাওয়ার সংলগ্ন কোনো একটি ভবন থেকে পড়ে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃতদেহের কাছ থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করা হয়েছে। তার হাতের কিছু অংশ কাটাছেড়ার দাগ থাকলেও কোনো ধরনের বিশেষ চিহ্ন বা কিছু আঁকা দেখা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, ‘ব্লু হোয়েল’র শিকার না, আত্মহত্যা করেছেন রাকিব। তবে তদন্তের পর তার মৃত্যুর বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদরঘাটের স্থানীয় একটি মার্কেটের একাধিক নিরাপত্তারক্ষী জানান, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টার দিকে হঠাৎ মল্লিক টাওয়ারের ছাদ থেকে নিচে পড়ে যায় রাকিব। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তার হাতের কাটা অংশ বারবার পরীক্ষা করে দেখেন। রাকিবের হাতের কাটা দাগ দেখে উপস্থিত অনেকেই বলাবলি করেন, মরণ খেলা ব্লু হোয়েলের শিকার হয়েছেন রাকিব।এদিকে নিহত ওই যুবকের মরদেহের ছবি দিয়ে সদরঘাট এলাকার এক বাসিন্দা তার ফেসবুক ওয়ালে একটি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘সদরঘাট গ্রেটওয়াল শপিং কমপ্লেক্স সংলগ্ন একটি ছেলে ছাদ থেকে পরে মারা গেল। ছেলেটির হাতে বেশ কয়েকটি দাগ পাওয়া গেল। অনেকে বলছে ব্লু হোয়েল গেইম খেলে মারা গেছে। গেইম থেকে বিরত থাকুন সবাই।’রাকিবের লাশের ছবি দিয়ে নিজের ফেসবুক ওয়ালে আরও কয়েকজনকে এ ধরনের পোস্ট দিয়ে অভিন্ন মন্তব্য করতে দেখা গেছে।