ইউনিক ডেস্ক : একুশে বই মেলার কথা বলতে হলে একটু পিছনের ইতিহাস জানতে হবে। ১৯৪৭ সালের ১৪ আগষ্ট আমরা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত করে ছিলাম, তার পিছনের একটা ইতিহাস ছিল। সে ইতিহাসের সব চেয়ে বেশী অবদান বাংলার মানুষের। ১৯৪৮ সালে পাকিস্তানের জাতীর পিতা কায়দে আযম এদেশে সফরে এসে ঢাকার কার্জন হলে বললেন, পাকিস্তানের রাষ্ট্র ভাষা হবে উর্দু। সেদিন উপস্থিত ছাত্ররা প্রতিবাদ করেন। পরের দিন রেসকোর্স ময়দানে নাগরিক সংবর্ধনায় একই কথা বলেন। তখন সেখানে উপস্থিত ছাত্র নের্তৃবৃন্দ প্রতিবাদ করেন। পাকিস্তান সৃষ্টির পর তারা একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য ভাষা এবং সংস্কৃতির উপর আঘাত হানে। উর্দু ছিল পাকিস্তানের ৬টি ভাষার মধ্যে একটি। মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ভাগ মানুষ উর্দুতে কথা বলত। আর সেই ভাষা আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করেছিল। এইদেশে স¦াধীনতার আন্দোলনের অনুপ্রেরণা হয়ে ছিল ভাষা আন্দোলন থেকে। তার পর বিভিন্ন আন্দোলন হয়েছে। সব আন্দোলনের পিছনে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর অবদান। একুশে বই মেলা আমরা করি। প্রথম শুরু করেছিল গাঙচিল সাহিত্য পরিষদ। এখন একুশে বই মেলার জন্য খুলনার সকল কবি সাহিত্যিক লেখকসহ বিভিন্ন সাহিত্যমনা মানুষ অধির আগ্রহে অপেক্ষা করেন। তাদের লেখা বিভিন্ন বই এখানে নিয়ে আসেন। সেখান থেকেই তাদের কষ্টার্যিত বই গুলো আমাদের ছেলে মেয়েরা সংগ্রহ করে জ্ঞান অর্জন করে থাকে। মানুষের নিত্য সঙ্গি হলো বই। খুলনা বই মেলার স্টল গুলো দুই পাঁচ দিনের মধ্যেই পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। প্রকাশকরা একটি বছর ধরে অপেক্ষায় থাকেন মেলায় বই নিয়ে আসার জন্য। বই মেলা শুরু হলে এই লাইব্রেরীর গুরুত্ব মনে হয় অনেক। বাকী সময়টা যেন নির্জিব হয়ে থাকে। তিনি গণগ্রন্থগারের উপপরিচালকের উদ্দেশ্যে বলেন, যা করলে লাইব্রেরী প্রঙ্গন সারা বছরই প্রাণচাঞ্চলতায় ভরে থাকে, তার জন্য যাকিছু প্রয়োজন করতে হবে।
বুধবার বেলা তিনটায় মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ¦ তালুকদার আব্দুল খালেক এসব কথা বলেন। উদ্বোধনী দিনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো: শহিদুল ইসলা। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পুলিশ কমিশনার (কেএমপি) মো: মাসুদুর রহমান ভূঞা (বিপিএম) খুলনা, অতিরিক্ত ডিআইজি মো: ইকবাল, খুলনা জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীন, বিশ^াস প্রপার্টিজ লি: এর সিইও মো: আজগর বিশ^াস তারা, পুস্তক প্রকাশক বিক্রেতা সমিতির সভাপতি মো: আলমগীর। এর আগে প্রধান অতিথি বেলুন উড়িয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে মেলার উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠান শেষে বিভিন্ন বইয়ের স্টল তিনি ঘুরে দোখেন এবং উদ্বোধন করেন। মেলার প্রথম দিনে মাত্র ২০টি বইয়ের স্টলে কিছু বই দেখা গেছে। অন্য সকল স্টল শুন্য ছিল। তবে কর্তৃপক্ষ বলছেন আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে ১০০টি স্টল পরিপূর্ণ হয়ে যাবে। এবারের বই মেলায় ৮০টি স্টল শুধু মাত্র বইয়ের জন্য থাকছে।