সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি না হতে পেরে ভ্যানের ওপর বাচ্চা প্রসবের ঘটনায় জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে পৃথক দুটো তদন্ত কমিটি গঠিত হয়েছে। কমিটিগুলোকে এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
এদিকে সকালে শিশুটি ও তার মাকে দেখতে মাছখোলা গ্রামে যেয়ে খাদ্য, শিশু খাদ্য ও নগদ টাকা দিয়ে এসেছেন জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে খবর আসার পর তিনি কয়েক দফায় ফোন দিয়ে খবর নিয়েছেন। একই সাথে আর্থিক ভাবে সহয়তা করার নির্দেশও দিয়েছেন। ফলে সকালেই জেলা প্রশাসক শিশু রুদ্র দাসের বাড়িতে পৌছান এবং সার্বিক বিষয়ে খোজ খবরও নেন।
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত জানান, ভ্যানের ওপর বাচ্চা প্রসবের ঘটনায় গাইনি বিশেষজ্ঞ ডা. এহেছান আরাকে প্রধান করে আজ তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর দায়ীদের বিরু্েদ্ধ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এছাড়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো: বদিউজ্জামানকে প্রধান করে দুপুরে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রশাসক।
শুক্রবার সদর উপজেলার ছনকা গ্রামের গৃহবধু শিমুলি দাস সন্তান প্রসবের জন্য কোন ক্লিনিকে ভর্তি না হতে পেরে সদর হাসপাতালে যান। সেখানেও তাকে ভর্তি না নিলে বেদনায় ছটফট করতে করতে ভ্যানের ওপরই ছেলে সন্তান প্রসব করেন তিনি। যার নাম রাখা হয়েছে রুদ্র দাস।