যশোর অফিস : জমি বিক্রি করে লিখে না দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে ৩৩ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বিএনপি নেতা এড. শহীদ মো: ইকবাল হোসেনের বিরুদ্ধে যশোর আদালতে মামলা হয়েছে। রোববার মণিরামপুরের খোজালীপুর গ্রামের মৃত ইসমাইল সরদারের ছেলে আব্দুল কাদের বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শম্পা বসু অভিযোগের তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেয়ার আদেশ দিয়েছেন। আসামি ইকবাল হোসেন মণিরমপুরের থানা রোডের নারিকেলপট্টি এলকার মৃত মহি উদ্দিন সরদারের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাদীর আইনজীবী বনি আমিন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, ব্যবসায়িক সূত্রে আসামি ইকবাল হোসেনের সাথে আব্দুল কাদেরের পরিচয়। ইকবাল হোসেন তার নিজ নামীয় ৯১ শতক জমির উপর দালান ঘরসহ বিক্রির ঘোষণা করেন। বিষয়টি জানতে পেরে আব্দুল কাদের ৩৩ লাখ টাকায় এ জমির কেনার প্রস্তাব দেন ইকবাল হোসেনকে। তিনি রাজি হলে ২০২০ সালের ৩০ জানুয়ারি টাকা ইকবাল হোসেনকে ৫ লাখ দিয়ে একটি বায়নানামা করে ৩০ মে ২৫ লাখ টাকা দিলে জমি রেজিস্ট্রি করে দিবেন বলে উল্লেখ করা হয়। একই সাথে বাকি ৩ লাখ টাকা আব্দুল কাদের ওই বছরের নভেম্বর মাসে পরিশোধ করবেন বলে উল্লেক করা হয়। বায়নানামা অনুযায়ী ইকবাল হোসেনকে টাকা পরিশোধ করে জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অনুরোধ করেন আব্দল কাদের। ইকবাল হোসেন জমি রেজিস্ট্রি করে না দিয়ে ঘোরাতে থাকেন। একপর্যায়ে ২০২২ সালের ৮ নভেম্বর সাক্ষীদের নিয়ে ইকবাল হোসনের কাছে গিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়ার অনুরোধ করেন। এ সময় ইকবাল হোসেন জমি রেজিস্ট্রি করে দিতে অস্বীকার করলে ক্ষতিপূরণসহ টাকা ফেরত চান। আব্দুল কাদের টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ওই বছরের ২৯ ডিসেম্বর ১৪ দিনের সময় দিয়ে ক্ষতিসহ ৪১ লাখ ৯২ হাজার টাকা পরিশোধের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেন ইকবাল হোসেনকে। ইকবাল হোসেন লিগ্যাল নোটিশ পেয়ে জমি রেজিস্ট্রি অথবা ক্ষতিসহ টাকা ফেরত না দেয়ায় তিনি আদালতে এ মামলা করেছেন।