যশোর অফিস : যশোরের মণিরামপুরে ছাত্রছাত্রীর সামনেই চুলের মুঠি ধরে শিক্ষিকাকে বেধড়ক মারপিট করেছেন মিজানুর রহমান নামে যুবলীগের এক নেতা। ছেলেকে শিক্ষকদের বেসিনে হাত ধুতে নিষেধ করায় ওই শিক্ষিকাকে মারপিট করেন তিনি। যুবলীগের ওই নেতা শ্রেনিকক্ষ থেকে শিক্ষিকাকে চুলের মুঠি ধরে জুতা দিয়ে পেটাতে পেটাতে মাঠের মধ্যে নিয়ে যান। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সামনে পিটিয়ে আহত করা হয় তাকে। ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুরে পৌর এলাকার দূর্গাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে। ঘটনার পর মিজানুর রহমানকে অভিযুক্ত করে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসে অভিযোগ এবং থানায় মামলা করা হয়েছে। বৃহস্পতবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাকে আটক করেছে। মিজান পৌরসভার একটি ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। এ ঘটনায় শিক্ষক সমাজের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ইসমত আরা পারভীন বলেন, ‘এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। এছাড়া তিন দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে প্রধান শিক্ষককে।’
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আহম্মেদ শফি বলেন, ঘটনাটি নিন্দনীয় ও দুঃখজনক। ঘটনার সুষ্ঠু বিচার এবং জড়িতদের শাস্তির দাবিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে যাবেন। ন্যায়বিচার না পেলে পরবর্তীতে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষক সমিতি।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার সাথে সাথে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়।’
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন,‘ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসামিকে আটক করা হয়েছে।
এদিকে, আটকের আগে এ বিষয়ে যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষিকাকে পেটানো হয়নি। তার সঙ্গে মুখ কালাকালি হয়েছে।