আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, এরপর ২০২৪ সালে ভারতে লোকসভা নির্বাচন। অনেকেই মনে করছেন মমতাও প্রধানমন্ত্রীর দাবিদার, আর তাই ‘ভারত এবার দিদিকে চায়’ স্লোগান তুলছে মমতার দল।
এবার তাদের সঙ্গে সুর মেলালেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন। এক সাক্ষাৎকারে এই অর্থনীতিবিদ স্পষ্টই জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
তিনি বলেছেন, এই নয় যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ্যতা নেই, অবশ্যই দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তার। কিন্তু বিজেপির বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভকে তিনি কতটা টানতে পারবেন সেটাই সবচেয়ে বড় বিষয়। অবশ্য এখনো সেটা দেখা যাচ্ছে না। তাকে বিজেপির দেশ বিভাজনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে (২০২৪) বিজেপি যদি ভাবে তারা একাই খেলা দেখাবে, তবে তারা ভুল ভাবছে। বিজেপি যেটা করছে তা হলো দেশের কথা না ভেবে হিন্দুদের দিকেই বেশি ঝুঁকে রয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনে ভারতের কয়েকটি অঞ্চলভিত্তিক আঞ্চলিক দলগুলো অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
৯০ বছরের এই অর্থনীতিবিদ জানান, আমার মনে হচ্ছে, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দলের মধ্যে তামিলনাড়ুর ডিএমকে দল, শরদ পাওয়ারের এনসিপি, তেলঙ্গনার মুখ্যমন্ত্রী চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল টিআরএস, জেডিইউ, সমাজবাদী পার্টি এমনকি তৃণমূল কংগ্রেসেও রয়েছে।
ভারতের সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অমর্ত্য সেনের এই ভাবনা যে কতটা সঠিক, সম্প্রতি তার প্রমাণ পেয়েছে ভারতবাসী। জাতীয়তাবাদী কংগ্রেস পার্টি (এনসিপি) এবং জনতা দল (ইউনাইটেড)-সহ বেশ কয়েকটি দলের নেতারা ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের জন্য কংগ্রেসসহ একটি নতুন জোটের আহ্বান জানিয়েছে। তারা বিরোধী জোট তৈরি করে দ্বিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। যদিও এই দলগুলোর সঙ্গে মমতা দলের দর পারদের মতো ওঠানামা করছে। বিশেষ করে প্রকাশ্যে মধুর দেখালেও কংগ্রেসের সঙ্গে মমতার যে তেমন সখ্যতা নেই, তাও সবার কাছে স্পষ্ট।