আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভোটের হাওয়ায় সরগরম ভারত। চরম ব্যস্ততায় প্রত্যেক রাজনৈতিক নেতা। শেষ মুহূর্তেও ভোটের বাজারে একে অপরকে নিশানা করতে ছাড়ছেন না। কিন্তু এর মধ্যেও তাদের মধ্যে রয়েছে সুন্দর সামাজিক সম্পর্ক। উৎসব-অনুষ্ঠানে চলে উপহার আদান-প্রদান। এমনটাই জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপহার পাওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
বলিউড নায়ক অক্ষয়কুমারের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর খোলামেলা আড্ডায় সামনে এল এমনই অজানা কিছু কথা। এক্সক্লুসিভ এই সাক্ষাতকরে কী কী জানালেন মোদী?
অক্ষয় কুমার জানতে চেয়েছিলেন, মোদী আম খেতে ভালোবাসেন কি না? মোদী জানান ‘ভীষণ ভালোবাসি।’ কিন্তু এখন অনেক মেপে খেতে হয়।
এরপর একে একে প্রশ্নের উত্তর দিতে থাকেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সে সময় তিনি জানান, কোনোদিন দেশকে নেতৃত্ব দেবেন এমন কথা ভাবেননি। তিনি বলেন, ‘যে রকম পরিবার থেকে উঠে এসেছি, আমি যদি ছোট চাকরিও করতাম আমার মা লাড্ডু বিলাতো।’
বিরোধী দলের সঙ্গে সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে অক্ষয়কুমারের প্রশ্নের উত্তরে নরেন্দ্র মোদী তুলে আনেন ভোটের ময়দানে প্রবল প্রতিপক্ষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে মোদী বলেন, ‘ভোটের সময় আমরা কিছুটা প্রভাবিত হই ঠিকই। তবে, এটা সত্যি যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও আমাকে বছরে একটা-দুটা কুর্তা পাঠায়৷
‘নিজের রাগ সম্পর্কে মোদী বলেন, ‘রাগ হয়, কিন্তু জীবনের শুরুর দিকে আমাদের সবসময় ইতিবাচক দিকে ফোকাস করতে বলা হতো। আগে যখন রাগ করতাম তখন কাগজে গোটা ঘটনাটি লিখে সেটি ছিড়ে ফেলতাম। কিন্তু এখন আর সেটা করি না।’
নিজের জীবনটা কোনও উদ্দেশ্য বা মিশন নিয়ে কাটাতে চান ভারতের বর্তমান সরকার প্রধান। তবে, অবসরের পর চার ঘণ্টার বেশি ঘুমানোর ইচ্ছে তার।
নিজের ফ্যাশন সম্পর্কে তিনি জানান, ‘দারিদ্র্যতার জন্য পরিচ্ছন্ন পোশাক পরাটা স্বপ্নের। এক আত্মীয় প্রথমে জুতো কিনে দেয়৷ তার আগে কোনও জুতো ছিল না৷ ক্লাস শেষ হবার পর সকলের বেরনো অবধি অপেক্ষা করতাম৷ সবাই বেরিয়ে গেলে চক দিয়ে জুতোয় ঘসতাম৷’