বিজ্ঞপ্তি : আইনের শাসন, ন্যায় বিচারের অধিকার, জীবনের অধিকার, স্বাধীনতা ও নিরাপত্তার অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার, সভা-সমাবেশের অধিকার, স্বাধীন সংবাদ মাধ্যমের অধিকার এবং ধর্মপালনের অধিকারসহ প্রতিটি নাগরিকের সকল অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। আর এটি যে কোন মূল্যে সরকারকেই নিশ্চিত করতে হবে। ব্যর্থ হলে অধিকার বঞ্ছিত নাগরিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ১০ ডিসেম্বর রোববার দেশের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’ খুলনা ইউনিট আয়োজিত র্যালী ও মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তারা এসব কথা বলেন। বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর ফুল মার্কেট মোড় থেকে র্যালী শুরু হয়ে জাতিসংঘ পার্কে গিয়ে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে অনুষ্ঠিত সমাবেশে ‘অধিকার’ খুলনা ইউনিটের ফোকাল পার্সন মুহাম্মদ নূরুজ্জামান সভাপতিত্ব করেন।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘণের চরম প্রতিযোগিতা চলছে। রাষ্ট্র নিজেই আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী দিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘণ করছে। অহরহই ঘটছে বিচার বহির্ভূত হত্যাকান্ড, গুম, খুন, অপহরণ, ধর্ষণ ও পাচারের ঘটনা। ঘরে-বাইরে সাধারণ মানুষের কোন নিরাপত্তা নেই। এমনকি বাক-স্বাধীনতা, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্রও হুমকির মুখে রয়েছে। এ অবস্থায় দল-মত নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বাক স্বাধীনতা-গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মধ্যদিয়ে মানুষের সকল অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট আইনজীবী ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ড. মো. জাকির হোসেন, নাগরিক নেতা এসএম সোহরাব হোসেন, মানবাধিকার সংগঠক শেখ আব্দুল হালিম, পরিবেশবাদী সংগঠন ছায়াবৃক্ষের নির্বাহী পরিচালক মাহবুব আলম বাদশা ও সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বনি।
উপস্থিত ছিলেন হিউম্যান রাইটস ডিফেন্ডার কেএম জিয়াউস সাদাত, হারুন-অর-রশীদ, এমএ আজিম, জি,এম রাসেল ইসলাম, হীরা খাতুন, খাদিজা আক্তার, মোঃ কামরুজ্জামান, মোঃ জামাল হোসেন, ফাহাদ ইসলাম, শফিকুল ইসলাম শাহীন, বাদল মোল্লা, সোলায়মান গাজী, গাজী শহিদুল ইসলাম, শেখ ফারুক, আবু জাফর, স্বপন সাহা, মো. রুবেল ইসলাম, ইয়াসিন আরাফাত, মো. রায়হান, সুমন কুমার ঘোষ, রিয়াজ হাওলাদার, রতন রায়, সামসুদ্দিন রিয়াত, মিল্টন রায়, শুভ্র গাঙ্গুলী, হাসিব হাওলাদার, মো. জাহিদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, তামিম হাসান, তাসনিম হাসান আফ্রিদী, ফয়সাল মাহমুদ প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা মানবাধিকার লঙ্ঘণের সাথে জড়িতদের কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানান। একই সাথে ‘অধিকার’র ওপর থেকে সরকারের দুর্বিসন্ধিমূলক নজরদারী ও হয়রাণী বন্ধ করে মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করার সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির দাবি জানানো হয়।