মো. শহীদুল হাসানঃ
বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ও হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব শায়খুল হাদিস মামুনুল হক বলেছেন, ইমাম ও আলেম সমাজ হলো ইসলাম ও জাতির রক্ষক। দেশ, জাতি ও ইসলামের বিরুদ্ধে যেকোন ষড়যন্ত্রে আলেম সমাজই সবার আগে এগিয়ে আসে। কিছুদিন আগে যখন সমগ্র দেশ সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের আক্রমনে থরথর করে কাঁপছিল, দেশের গোয়েন্দা নেটওয়ার্ক যখন অনেকটাই ব্যর্থ প্রমানিত হয়েছিল, তখন জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররমের খতিব আল্লামা ওবায়দুল হক (রঃ) আহবানে সাড়া দিয়ে সাড়ে ৩লক্ষ মসজিদের ইমাম সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাড়িয়েছিল সেটি বাংলাদেশের ইমাম ও আলেম সমাজের একটি গৌরবোজ্জল ইতিহাস। আমরা স্বাধীনতার তিন তিনটি স্তর পেরিয়ে রক্তের সাগর পাড়ি দিয়ে এদেশের স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আর এ স্বাধীনতার পিছনে সবচেয়ে বেশি অবদান হলো ওলামায়ে-কেরামদের পূর্ব পুরুষদের। এদেশের ভবিষ্যৎ নির্মানের পিছনে সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীল মহল হলো এ দেশের ইমাম ও আলেম সমাজ। এ আলেমরা যদি জনগনকে সঠিক ও সুন্দরভাবে পরিচালিত না করে তাহলে শুধু শাসনের লাঠি দিয়ে একটি দেশ সুন্দরভাবে পরিচালনা করা সম্ভব নয়। শাসনের চেয়েও নৈতিকতার উৎকর্ষতা দেশ এবং জাতিকে তার সঠিক গন্তব্যর দিকে অগ্রসর করে নেওয়ার জন্য অনেক বেশি কার্যকর। এদেশে রাষ্ট্রীয় নীতি নৈতিকতা বজায় রাখার জন্য যতগুলো মহল রয়েছে, তার অধিকাংশই দূর্নীতিগ্রস্থ ও ব্যর্থ বলে প্রমানিত। এ অবস্থার মধ্যেও দেশ, জাতি ও আগামী প্রজন্মকে নীতি নৈতিকতার দিকে উ™ু¢দ্ধ করার লক্ষে সফল প্রতিষ্ঠান গুলো হলো এ দেশের মসজিদ ও ইমাম সমাজ। বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্র ইমামদেরকে সেভাবেই মূল্যয়ন করতে হবে, প্রশাসনকেও সেভাবেই আচরন করতে হবে। পারস্পরিক সহযোগীতার ভিত্তিতে দেশ এবং জাতি সামনের দিকে অগ্রসর হয়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, দেশ, জাতি, দেশের স্বাধীনতা ও ইসলামের বিরুদ্ধে যখন কোন ষড়যন্ত্র আমরা বাধতে দেখবো, তখন কোন শক্তির রক্তচক্ষু আমরা পরোয়া করবো না। দেশ, জাতি, স্বাধীনতা ও ইসলামের পক্ষে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকারের জন্য দেশের আলেম সমাজকে প্রস্তুত থাকতে হবে। আমরা যদি প্রস্তুত থাকি বাংলাদেশ নিরাপদ থাকবে, বাংলাদেশ হেফাজত থাকবে। আমরা যদি জাগ্রত থাকি দেশবিরোধী প্রতিটি ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।
তিনি আরোও বলেন, আমরা প্রতিটি কাজ দায়িতশীলতার সাথে করছি। দেশ, জাতি ও জনগনের জন্য দায়িত্ববোধ থেকে কাজ করছি। তবুও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারাী বাহিনী আমাদের সাথে চোর পুলিশ খেলছে। বর্তমান সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে। সরকার দেশকে স্থিতিশীল রাখতে চায়, আমরা ও দেশকে স্থিতিশীল রাখতে চাই। প্রশাসন আমাদের ওয়াজ মাহফিলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের উৎপাত করছে। এভাবে যদি আমাদেও কে একের পর এক বাধাগ্রস্থ করেন তাহলে দেশকে স্থিতিশীল রাখতে পারবেন না। দেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠবে, এজন্য আপনাদেরকে দায় বহন করতে হবে। মাহফিলে বাধা দিলে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠান নিবির্ঘ্নে পালন করতে পারবেন না। আমরা ৩ ঘন্টা সময় দিলাম, এ মধ্যে আমাদেও কোরআন মাহফিল করতে না দিলে আমরা আন্দোলনে নামবো। আপনাদেও রাষ্ট্রীয় যে অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছেন তা নির্বিঘ্নে করতে পারবেন না। আর এ উদ্ভুত পরিস্থিতির জন্য দায়িত্ব খুলনা অঞ্চলের পুলিশকে বহন করতে হবে। তিন ঘন্টা পরেই আমরা সারাদেশ ব্যাপি কর্মসূচীর ডাক দিবো।