মো: ওমর ফারুক (বাবু): চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান সড়কটির হাশিমপুর অংশে বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন আল জাফর চৌধুরী সড়ক নামে নামকরণ করেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।
১১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ গোলাম জিলানী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে সড়কের নামকরণ করেন।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার উত্তর হাশিমপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী চৌধুরী পরিবার বীর মুক্তিযোদ্ধা আল জাফর চৌধুরী ১৯৩৪ সালের ১লা জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন । তার পিতা আব্দুল জলিল চৌধুরী ও মাতা মজলিস খাতুন । তিনি গাছবাড়িয়া নিত্যানন্দ গৌরচন্দ্র সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় হইতে ১৯৫৫ সালে মেট্রিক পাস করে বোয়ালখালী কানুনগোপাড়া স্যার আশুতোষ কলেজ স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।
ছাত্রজীবনে তিনি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। কলেজের দেন কালীন সময়ে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ ও নির্যাতনের প্রতিবাদে পাকিস্তানী শাসকদের বিরুদ্ধে তিনি আন্দোলন সংগ্রামে শরিক থেকে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালে ৬ দফা আন্দোলন ও ১৯৬৯এর গণঅভ্যুত্থান সহ পাকিস্তানি সামরিক জান্তার বিরুদ্ধে স্থানীয় পর্যায়ে জনমত গড়ে তোলার নেতৃত্বে অগ্রণী সৈনিক হিসেবে কাজ করেন ।
পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামের অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর হতে এলাকার ছাত্র-যুবকদের সংগঠিত করে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন, এসময় তিনি মেজর রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম এর নেতৃত্বে গঠিত ১ নং সেক্টরের অধীনে চট্টগ্রামের কালুরঘাট, মিলিটারি পুল, পটিয়া শান্তিরহাট কুসুমপুরা ও চন্দনাইশের দোহাজারী ব্রিজ সহ বিভিন্ন স্পটে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন আল জাফর চৌধুরী ( লাল মুক্তিবার্তা নং ০২০২০৭০০৮৯, সাময়িক সনদ নং- ম- ৬২৯১ তারিখ ০২/১০/২০০২, গেজেট নং- ৪৩৭৫ তারিখ-২২/০৬/২০০৬ ) ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা অর্জনে অসামান্য অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে বর্তমান সরকার তার নামে চন্দনাইশ উপজেলার খানহাট-ধোপাছড়ি-বান্দরবান হাশিমপুর অংশের সড়কটির বীর মুক্তিযোদ্ধা হারুন আল জাফর চৌধুরী সড়ক নামে নামকরণ করেন।