মুক্তির মুক্তি মিলছেই না

প্রকাশঃ ২০২৩-০১-২২ - ১৩:২৮

যশোর অফিস : নাদিরা আক্তার মুক্তি। পাঁচ বছর আগে তার আশিকুরের সাথে বিয়ে হয়। আর সেখানেই যেন তার জীবন থমকে যায়। যৌতুকের দাবিতে তার উপর চালানো হয় নির্মম নির্যাতন। গলায় বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টা চালানো হয় তাকে। এসব বিষয়ে আদালতে মামলা ও থানায় অভিযোগও করা হয়। কিন্তু কিছুতেই মুক্তি মিলছে না মুক্তির। চার বছরের শিশু সন্তান নিয়ে এখন তিনি ঘুরছেন দারে দারে। বাধ্য হয়ে ফের তিনি আদালতের আশ্রয় নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার আদালতে দুইটি মামলা করেছেন তিনি। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসামির বিরুদ্ধে সমন জারির আদেশ দিয়েছেন। আসামি আশিকুর রহমান যশোর সদর উপজেলার ইছালী জোত রহিমপুর গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে। বাদী নাদিরা আক্তার মুক্তি সদর উপজেলার আবাদ কচুয়া গ্রামের শাহ আলমের মেয়ে।

মুক্তির মামলার অভিযোগে উল্লেখ করেন, বিয়ের সময় মুক্তিকে সোনার গহনা, আসবাবপত্রসহ এক লাখার টাকা মালামাল ও আশিকুরকে সোনার আংটির জন্য নগদ ২২ হাজার দেন । একবছর পর তাদের পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। এরপর থেকেই নানা অত্যাচার চালতে থাকে আশিকুর। প্রথমে দেড় লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে নাদিরাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক নির্যাতন ও বাড়ি থেকে বের করে দেয় আশিকুর। নিরুপায় হয়ে নাদিরা ২০২১ সালের ৩ জুন আদালতে মামলা করে। পরবর্তিতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকার শর্তে মামলা প্রত্যাহার করে নেন মুক্তি। এরপর ফের এক আচারণ করতে থাকে। বাধ্য হয়ে নাদিরার মা আশিকুরকে একটি ফ্রিজ, ছাগল, সেলাই মেশিন, টিউবওয়েল প্রদান করেন। কিন্তু আশিকুর তাতে খুশি না হয়ে পুনরায় তিন লাখ যৌতুক দাবি করে এবং আশিকুরের মা, বাবার সহায়তায় নাদিরার মুখে জোরপূর্বক বিষ ঢেলে দেয়। হাসপাতালে ভর্তি থাকতে হয় মুক্তিকে। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেন মুক্তি। এ ধরণের কাজ না করার শর্তে আবারো মিমাংশা হয়। কয়েকদিন যেতে না যেতেই আবারও একই আচারণ শুরু করে। এক পর্যায় মারপিট করে মুক্তিকে সন্তানসহ বাড়ি থেকে বের করে দেন। পরে এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দেয়া হলেও কেউ মুক্তির দিকে মুখ তুলে তাকায় না। বাধ্য হয়ে তিনি আদালতে মামলা করেন। তিনি আরও বলেন, তাকে হত্যার হুমকি দেয়া হচ্ছে। যেকোনো সময় বড় ধরণের দূর্ঘটনার শঙ্কা রয়েছে। তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।