ভারতে লোকসভা নির্বাচনের আর মাত্র ক’দিন বাকি। ভোটের আগে নির্বাচনি সমাবেশে প্রায় সব রাজনৈতিক দলই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে কাশ্মীরকে। বিরোধীদের অভিযোগ, মোদী যখন কোনোভাবেই পুনরায় ক্ষমতায় আসার অঙ্ক মেলাতে পারছিলেন না তখন পুলওয়ামা হামলায় অনেকটাই চাঙ্গা হয়েছে তার দল। জাতীয়তাবাদী রাজনীতির ডামাডোলে আড়ালে পড়েছে ভারতের কৃষি ও আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার সংকট।
রাজনৈতিক দলগুলো যখন নিজেদের ভোট বাড়াতে রাজ্যটিকে ব্যবহার করছে তখন কী ভাবছেন সীমান্তে পাকিস্তানের হামলা আর সরকারি বাহিনীর নিপীড়নের মুখে থাকা কাশ্মীরের বাসিন্দারা?
কাশ্মীরের বাসিন্দাদের কন্ঠে ফুটে উঠলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া, ‘আমরা মোদিকে জেতাতে চাই কারণ তিনি আমাদের জন্য অনেক কিছু করেছেন।’ অভিযোগও ফুটে উঠলো কারো কারো কন্ঠে, ‘স্থানীয় নেতাদের গ্রেপ্তার করে, সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধ করে রাজনৈতিক পরিসরকে সংকুচিত করা হলে, এমন পরিস্থিতি জনগণকে রাষ্ট্র থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে।’
নিজের জন্মভূমিতে নিজেকে অনিরাপদ বোধ করেন অনেকেই। তাদেরই একজন বলেন, ‘আমাদের বাচ্চারা স্কুলে গেলে তারা নিরাপদে ঘরে ফিরবে কিনা তা নিয়ে প্রতিদিনই আমরা আতঙ্কে থাকি। আমাদের ছেলেমেয়েদের জন্য এখানে পড়ালেখা করাটা খুব কঠিন।’
রাজ্যটিতে বিচ্ছিন্নতাবাদী সব সংগঠনের জোট ‘অল পার্টিস হারিয়াত কনফারেন্সের’ নেতার অভিযোগ, ভোট বাড়াতে নিজের ক্ষুদ্র স্বার্থে কাশ্মীরকে ব্যবহার করছেন নরেন্দ্র মোদী। অল পার্টিস হারিয়াত কনফারেন্স’র স্থানীয় নেতা মিরওয়াইজ উমর ফারুক বলেন, ‘নরেন্দ্র মোদি নিজেকে জাতীয় নেতা বলে দাবি করেন। একজন জাতীয় নেতা কখনোই জাতীয় ইস্যুকে নিজের ক্ষুদ্র রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করেন না।’
সরকারি হিসেবে, কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে গত তিন দশকে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ৫০ হাজার মানুষ।