মোংলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা

প্রকাশঃ ২০১৮-০১-১৬ - ১৫:৫৩

আবু হোসাইন সুমন, মোংলা : মোংলায় পৌর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মানিক এবং যুবদলের ৪ নেতা-কর্মীসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১৫ জনের নামে সরকারকে উৎখাতে নাশকতার পরিকল্পনা করার অভিযোগে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মোংলা থানার এস,আই গৌতম হালদার বাদী হয়ে গত শনিবার (১৩ জানুয়ারী) মামলাটি দায়ের করেন। এদিকে এ মামলাকে কেন্দ্র করে মোংলা বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে অনেক নেতা-কর্মী গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। অবশ্য বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে এ মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে বলেছেন, বিএনপি’র নেতা কর্মীদের হয়রানী করতে উদ্দেশ্যমুলক সম্পূর্ণ সাজানো ঘটনা দিয়ে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, গত ১৩ জানুয়ারী রাতে মোংলা পৌরসভাধীন ৯ নং ওয়ার্ডস্থ কেওড়াতলার মোংলা টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজম্যান্ট কলেজের বারান্দায় ২০ দলীয় সমর্থিত বিএনপি, জামায়াত, শিবির ও ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা দেশকে অস্থিতিশীল করাসহ নাশকতা মুলক কর্মকান্ড করার লক্ষে গোপন বৈঠক করছিল। এ সময় পুলিশ ধাওয়া দিলে বৈঠককারীরা লাঠি সোটা ও ধারালো অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এতে বিএনপি’র মোংলা পৌর শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক ও শ্রমিক নেতা মাহবুবুর রহমান মানিক, ছাত্র দলের মোংলা থানা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাশেম, যুবদল নেতা মোঃ বাপ্পা ও ফয়সাল আহম্মদসহ আরো ১০/১৫ জন অজ্ঞাতকে আসামি করা হয়েছে। এদিকে এ মামলা দায়েরকে কেন্দ্র করে মোংলা বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতা কর্মীদের মাঝে গ্রেফতার আতংক বিরাজ করছে। ইতিমধ্যে নেতা কর্মীরা গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন। অপরদিকে এ মামলাকে মিথ্যা ষড়যন্ত্র ও উদ্দেশ্যমুলক দাবি করে বাগেরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি এম, এ সালাম ও সহ-সভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম পৃথক বিবৃতি প্রদাণ করেছেন। বিবৃতিতে এ ঘটনার তীব্র নিন্দা, ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে অবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়েছে। বিবৃতিতে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. ফরিদুল ইসলাম বলেন, মোংলা ও রামপালে বিএনপির সাধারণ নেতা-কর্মীদের হয়রানী করার জন্য মিথ্যা মামলায় প্রতিনিয়ত আটক করা হচ্ছে। তারই ধারাবাহিকায় মোংলায় এই নাশকতার মামলা করা হয়েছে। আগামীতে সাধারণ নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার করে এই মামলায় আটক দেখিয়ে জেলে ঢুকানোর পায়তারা করছে। এ ধরণের মিথ্যা ও হয়রানীমুলক মামলা থেকে সরে আসার জন্য সরকারের প্রতি আহবাণ জানাচ্ছি।