মোংলা প্রতিনিধিঃ মোংলায় এক মোবাইল হ্যাকারকে ধরে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার রাতে দিগরাজ বাজার থেকে এই হ্যাকার আটকের ঘটনায় হ্যাকিংয়ের শিকার লোকজন তাকে দেখার জন্য ও তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পুলিশের কাছে জোর দাবী জানান। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশের গড়িমসির অভিযোগ করেছেন স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। এ বিষয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, আমি থানার বাহিরে আছি, শুনেছি লোকজন ধরে একজনকে পুলিশে দিয়েছে। তার বিষয়ে খোজ খবর নিয়ে পরবর্তীতে জানাতে পারবো।
স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা জানান, মোংলার দিগরাজ বাজারের মিলি টেলিকমসহ আশপাশের দোকানগুলোতে গত ২০/২২ দিন ধরে এক যুবকের সন্দেহজনক চলাফেরা ও দোকানে দোকানে ঢুকে কৌশলে বিকাশ নম্বরের খাতা দেখে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আসছিল। এরপর ওই সকল দোকান থেকে নেয়া নম্বরগুলোতে বিকাশ এজেন্ট পরিচয় দিয়ে ফোন করে/ফোন হ্যাক করে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। এ নিয়ে দিগরাজ বাজারের বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীদের কাছে গ্রাহকেরা একের পর এক অভিযোগ জানিয়ে আসার এক পর্যায়ে মঙ্গলবার রাতে মিলি টেলিকম থেকে কয়েকটি নম্বর সংগ্রহ করে সেই সকল নম্বরে ফোনে যোগাযোগ করার সময় হাতে নাতে হ্যাকার রবিউল ইসলাম (৩১)কে ওই দোকানদার আ: রাজ্জাকসহ আশপাশের দোকানদার আটক করে পুলিশে দেয়। রবিউল খুলনার ছোট বয়রা এলাকায় বসবাস করেন। তার গ্রামের বাড়ী নড়াইলে। রবিউল নড়াইলের চাপুলিয়া গ্রামের বাবু সুন্নত জামে মসজিদের ঈমাম নিজাম উদ্দিনের ছেলে। রবিউল ২০১৫ সালে বিএল কলেজ থেকে ডিগ্রী পাস করার পর এ চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়েন। পুলিশ রবিউলের কাছ হ্যাকিংয়ের কাজে ব্যবহৃত ৪টি মোবাইল ফোন ও বিভিন্ন কোম্পানীর বেশ কয়েকটি সিমও জব্দ করেছে। তবে ওই হ্যাকারকে থানায় নেয়ার পর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে গড়িমসির অভিযোগের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীরা।