আবু হোসেন সুমন, মোংলা, বাগেরহাট:
মোংলা বন্দরে লাইটার জাহাজ থেকে পাচার হওয়ার গম উদ্ধারের ঘটনায় ৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার রাত ১২ টার দিকে মোংলা থানার এসআই দেবজিৎ কুমার সানা বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ১১। গম পাচারের এ মামলায় আসামী করা হয়েছে আসাদুল মন্ডল (৩৫), মনিরুল ইসলাম (৪৫), মোঃ ওবায়দুল (৩৫), আব্দুল খালেক শিকদার (৪২) ও মোঃ সবুজ (২৮)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাত আরো ০৪/৫ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মোংলা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, আসামীদের মধ্যে বুধবার আসাদুল মন্ডলকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার সকালে বাগেরহাট আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকী আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এর আগে বুধবার বন্দরের পশুর নদীতে অবস্থারত একটি লাইটার জাহাজ থেকে পাচার হওয়া গম পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডের মুনলিট কিন্ডার গার্ডেনের সামনের মনিরুলের অটোরাইস মিল থেকে তা উদ্ধার করা হয়। ৭৫ বস্তায় ৩ হাজার ৭৫০ কেজি চোরাই গম রয়েছে। এ গম উদ্ধারকালে আসাদুল মন্ডল নামের এক পাচারকারীকেও আটক করে পুলিশ। পরে এ ঘটনার সাথে জড়িত আরো চারজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন পুলিশ কর্মকর্তা দেবজিৎ কুমার সানা।
এদিকে মোংলা বন্দরে আগত খাদ্যশস্যবাহী জাহাজ থেকে প্রায়ই গম পাচার হয়ে আসছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। পৌর শহরের কুমারখালী, মাদ্রাসা রোড, বাগেরহাট জেটি, মাছমারা, কাইনমারী ও পশুর নদীর পশ্চিম পাড়ের লাউডোব, বাজুয়া ও কাটাখালী এলাকার একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চক্র দেদারছে এ গম পাচার করে আসলেও দীর্ঘদিন ধরেই ধরা ছোঁয়ার বাহিরে রয়েছেন তারা।