মোংলা বন্দরে পন্য খালাস বন্ধ, সকল নৌযান নিরাপদে সরে যাওয়ার নির্দেশ

প্রকাশঃ ২০২৪-১০-২৪ - ১৫:১২

ডেস্ক নিউজ : ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় দানা, এর প্রভাবে মোংলা বন্দর ও সুন্দরবন সংলগ্ন উপকুলীয় এলাকায় দুর্যোগপুর্ণ আবহাওয়া বিরাজ করছে, চলছে লাগাতার বৃষ্টি-বাড়ছে বাতাসের তীব্রতাও। তাই এ ঘূর্ণঝড়ের হাত থেকে রক্ষা ও মানুষের জানমাল রক্ষায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

ঘূর্ণিঝড় দানা আজ বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে জরুরী সভা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সভার সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী আফিয়া শারমিন। উপস্থিত ছিলো ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী (সিপিপি) মোংলা উপজেলা কর্মকর্তা মামুনার রশিদসহ উপজেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য, সকল ইউনিয়নেন ৬৬টি ইউনিটের ইউনিট টিম লিডার, স্বেচ্ছাসবকসহ এনজিও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগ মোকাবেলার সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করাসহ মোংলা উপজেলায় ১০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, সকল পাকা স্কুল ভবন ও ধর্মীয় উপসানালয় প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যেখানে আশ্রয় নিতে পারবেন প্রায় ৫৫/৬০ হাজার মানুষ। এছাড়া আশ্রয়কৃত মানুষের জন্য শুকনো খাবার, জরুরী ত্রান সহায়তার জন্য চাল ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সংকেত বাড়ার সাথে সাথে মানুষকে সচেতন ও দুর্যোগ চলাকালীন সময় মানুষদের উদ্ধার, আশ্রয় দেয়া ও প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ পরিচালনার জন্য সিপিপির ১ হাজার ৩২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রস্তুত থাকাসহ বিদ্যুৎ বিভাগ সড়ক বিভাগ ফায়ার সার্ভিসকে দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যালাইন, ঔষধ ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট সংরক্ষরসহ উপজেলায় মোট ২৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নদী সংলগ্ন এলাকার ঝুকিপুর্ন বেড়িবাঁধের দিকে নজর রাখার জন্য নির্দেশনা দিয়েছে। দুর্যোগের সময় কোথাও ভাঙ্গন দেখা দিলে তা মেরামতের জন্য শ্রমিকসহ জিও ব্যাগ প্রস্তুত রাখার জন্য জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানিয়েছে মোংলা উপজেলা প্রশাসন।

এদিকে, বর্তমানে মোংলা বন্দর চ্যানেলে পন্য খালাসের জন্য ৮টি বানিজ্যিক জাহাজ অবস্থান করছে। সে সকল জাহাজ নিরাপদে গিয়ে শক্ত অবস্থানে নঙ্গর করে থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। নিজস্ব এলার্ট-১ সহ বন্যা দুর্গত মানুষের আশ্রয় ও উত্থারের জন্য সকল নৌযান প্রস্তুত রেখেছে বন্দর। দুর্যোগের বিপদকালীন সময় মানুষের সহায়তার জন্য প্রস্তুত রয়েছে কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বন বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।